ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়ায় - বুড়িচংয়ে কয়েক দিনের তাপদাহে বন্যার কারনে বেড়েছে
রোগব্যাধি। এতে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর, গলাব্যথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার
জন্য হাহাকার করছে নানা বয়েসী মানুষ। শিশু ও বৃদ্ধদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
কম থাকে বলে তারা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বলছেন, বন্যায় বিশুদ্ধ পানি সংকট হওয়া এবং গরম বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
চিকিৎসকরা
জানান , বন্যায় ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং এর সব কয়টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় এবং
বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দেওয়ায় এবং বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রে অতিরিক্ত
মানুষ বসবাস করায় এ সময়ে ডায়েরিয়া,আমাশয়,বমি, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ
বিভিন্নরোগবালাই দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলা বিভিন্ন আশ্রয়ন,
বিভিন্ন বন্যাপ্লাবিত এলাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ও জরুরি
বিভাগসহ বেসরকারি হাসপাতাল এবং রোগ নিরাময় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক
দিনের বন্যায় বানের পানি এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
নিরাপদ সেনিটেশন এবং নিরাপদ খাবার না পাওয়া এবং হঠাৎ গরমে নানা বয়সী মানুষ
অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, জ্বর,
ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, বমি, পেটব্যথা, গলাব্যথা ও এলার্জিজনিত সমস্যাসহ
নানা ধরণের রোগ।
উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধুশিয়া এলাকার সিরাজুল
ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় পানি উঠে রাস্তা সহ বন্ধ হয়ে যায়। আমায় টিওবয়েল
বর্তমানে পানির নিচে রয়েছে, অন্য বাড়ি থেকে পানি এনে খেতে হয়, আজ কয়েক দিন
যাবত আমার জ্বর ও বমি হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের
আবুল কালাম বলেন, আমার ৭ বছরের শিশু সাইদ গত কয়দিন ধরে পাতলা পায়খানাজনিত
সমস্যায় ভুগছিল। বাড়ির পাশের ঔষধ দোকান থেকে ঔষধ নিয়ে খাইয়েছিলাম। তেমন
কোনো উন্নতি না দেখ শংকুচাইল আশ্রয়নে ডাক্তার দেখিয়েছি এবং ঔষধও দিয়েছে।
দুই
বছর বয়সী নাফিসার বাড়ি উপজেলার ছাতিয়ানী এলাকায়। শিশুটির মা রহিমা আক্তার
জানান, নাফিসার গত কয়েক দিন ধরে হালকা জ্বর ছিল। এরইমধ্যে তার ডায়রিয়া
দেখা দিয়েছে। আগামীকাল ব্রাহ্মণপাড়া গিয়ে ডাক্তার দেখাব।
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন
মুবিন বলেন বন্যার কারনে বিশুদ্ধ পানি সংকট এবং গরম খাবার না থাকায় শিশু ও
বয়স্কদের পাশাপাশি সকল বয়সী মানুষের ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর হতে পারে। এ
ছাড়া পেট খারাপ, কলেরা, আমাশয়, ডায়রিয়, নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এক্ষেত্রে একটু পর পর বিশুদ্ধ পানি ও ওরস্যালাইন খাওয়া পরামর্শ দেন।