শনিবার ১৭ মে ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪, ১২:০০ এএম |



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়ে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টার পর থেকে ঢাকা মেডিকেলে আসতে থাকেন আহত শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা পর্যন্ত ২০০ জন চিকিৎসা নেওয়ার হিসাব পাওয়া গেছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। বিকেল ৩টায় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর দুপক্ষই ইট-পাটকেল লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খ- খ- মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন। যোগ দেন ঢাকা কলেজসহ ছাত্রলীগের আরও ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
এদিকে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে সোমবার দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে বিকালে যে সংঘর্ষের সূচনা, সেটি ঢাকা মেডিকেলেরও সামনেও ছড়ায়। সংঘর্ষ হয় শহীদুল্লাহ হলের সামনেও। এরপরও পুলিশের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
কয়েক ঘণ্টা পর ৬টার দিকে শহীদুল্লাহ হলের পাশ দিয়ে সাঁজোয়া যানসহ দাঙ্গাদমনের সাজে সজ্জিত হয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন কয়েকশ পুলিশ সদস্য।
বেলা ৩টা থেকে ক্যাম্পাসের উত্তর দিকের জসীমউদদীন হল, বিজয় একাত্তর হল এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের পেটাতে শুরু করেন লাঠিসোটা, হেলমেটে সজ্জিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সংঘাত ছড়াতে ছড়াতে উপাচার্যের বাংলো থেকে টিএসসি পর্যন্ত যায়। স্রোতের মতো আহত শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। এক পর্যায়ে সেখানেও হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে গেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের সামনে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় শহীদুল্লাহ হল এলাকা থেকে শোনা যায় হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ।
ঢাকা মেডিকেলের ভেতর হট্টগোলের পর ছুটে আসেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা; সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত আনসার সদস্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকা পুলিশের দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার। বিপ্লব কুমার সরকারকে শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
সে সময় এসময় শহীদুল্লাহ হলের কিছু বিক্ষুব্ধ ছাত্র বাইরে এসে চীৎকার করে অুভিযোগ করতে থাকেন, হলে ঢুকে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে ছিল না।
পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের যা বলবে আমরা সেভাবে কাজ করব। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে এসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।”
রাত পৌনে ৮টার দিকে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ছাত্রদের ভেতরে যেতে এবং বহিরাগতদের বাইরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।












সর্বশেষ সংবাদ
বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়
‘আসিফ নজরুল স্যার দায় এড়াতে পারেন না’
সড়কে পড়েছিল ‘৪৫ লাখ’ টাকা
‘নির্বাচনের পূর্বেই কুমিল্লা নামে বিভাগ হবে’
মুরাদনগরে গোমতী নদীর তীরথেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন
কুমিল্লায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কুমিল্লায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিদের বিক্ষোভ, সাংবাদিককে ছরিকাঘাত
এ সরকারের হাতে দেশের ভূখণ্ডনিরাপদ নয়
কুমিল্লায় ঘুষ ছাড়াই নিয়োগ পেলেন ৭৫ কনস্টেবল
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২