কানাডা তাদের ফুটবল
ইতিহাসে এবারই প্রথম কোপা আমেরিকায় খেলার সুযোগ পেয়েছে। প্রথমবার খেলতে
এসেই বাজিমাত করেছে উত্তর আমেরিকার দলটি। তাদের আগে ১৯৯৩ সালে মেক্সিকো ও
২০০১ সালে হন্ডুরাস কোপা আমেরিকায় প্রথমবার খেলতে এসেই সেমিফাইনাল খেলেছিল।
হন্ডুরাস আর এগোতে না পারলেও মেক্সিকো পৌঁছে গিয়েছিল ফাইনালে।
মেক্সিকোর
সেই রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ এবার কানাডার সামনে। কিন্তু সেই সুযোগ কি পাবে
কানাডা? কারণ, তাদের সামনে যে হেভিওয়েট আর্জেন্টিনা। যারা বর্তমান বিশ্ব
চ্যাম্পিয়ন, কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, ফিফা র্যাংকিংয়ে নাম্বার ওয়ান।
যাদের ঝুলিতে রয়েছে কোপা আমেরিকার রেকর্ড ১৫টি শিরোপা। এবারের আসরেও যারা
শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে ফেভারিট।
তবে ফিফা র্যাংকিংয়ে ৪৮তম অবস্থানে থাকা
কানাডার কোচ জেসি মার্শ জায়ান্ট কিলার হওয়ার সুযোগের অপেক্ষায়, ‘গেল পাঁচ
বছরে তারা মাত্র দুইবার হেরেছে। লিওনেল মেসি সময়ের সেরা খেলোয়াড়। তবে আমরা
বিশ্বাস করি আমাদেরও সুযোগ আছে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’
অবশ্য
গ্রুপপর্বেও আর্জেন্টিনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল কানাডার। সেই ম্যাচে
প্রথমার্ধে নিজেদের জাল অক্ষত রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে হার
মানে তারা। তবে এবার কানাডা আগের ম্যাচের অভিজ্ঞতায় ভর করে বেশ
আত্মবিশ্বাসী। যেমনটা বলেছেন কানাডার কোচ, ‘আমরা জানি আর্জেন্টিনা কতোটা
ভালো দল। আমরা তাদের বিপক্ষে খেলেছি। তবে আমাদেরও সফলতার সুযোগ আছে কিছু
মুহূর্তে। আমি আগেই বলেছি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আমাদের জীবনের সেরা ম্যাচটা
খেলতে হবে। তারপরও হয়তো সেটা যথেষ্ট হবে না। কিন্তু চেষ্টায় কোনো ত্রুটি
থাকবে না।’
কানাডার বিপক্ষে অবশ্য আর্জেন্টিনার খুব বেশি ম্যাচ খেলা
হয়নি। ২০১০ সালে তারা একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল। সেই ম্যাচে কানাডাকে ৫-০
গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এরপর গ্রুপপর্বের ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে
হারিয়েছিল।
আর্জেন্টিনার সম্পূর্ণ বিপরিতমুখী একটি দল কানাডা। যেখানে
আলবিসিলেস্তেদের কোপায় খেলার অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ, শোকেসে আছে রেকর্ড ১৫
শিরোপা। সেখানে কানাডা প্রথমবার খেলছে কোপার সেমিফাইনাল। তারা অভিজ্ঞতায়
নিঃসন্দেহে অনেক পিছিয়ে থাকবে। কিন্তু নিজেদের দিনে, সেরাটা দিয়ে
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অঘটন ঘটিয়ে মেক্সিকোর পর দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথমবার
কোপায় খেলতে এসেই ফাইনালে উঠতে পারে কিনা দ্য রেডসরা সেটাই দেখার বিষয়।