দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা আলোচনা চলছে। এর মধ্যে তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
গত
মার্চের শেষের হিসাবে, খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি
টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। বিতরণ হওয়া মোট ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ
৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য জানান।
তথ্য
অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪৫
হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৯ শতাংশ। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ
বেড়ে যায় ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২ শতাংশ। মোট খেলাপি ঋণ অংকে
দাঁড়ায় এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটিতে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়,
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ২৭ শতাংশ। তাদের বিতরণ
করা ঋণের পরিমাণ তিন লাখ ১২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা।
মার্চ শেষের হিসাবে,
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। তাদের বিতরণ করা
মোট ঋণের পরিমাণ ১২ লাখ ২১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা।
অন্যদিকে দিকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ; আর মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
আন্তর্জাতিক
মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের
শর্তের একটি হলো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক
খাতের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলেছে সংস্থাটি। তবে উল্টো এখন
খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আর উল্লিখিত তিন মাসে এই বৃদ্ধির হার অন্য যে কোনো সময়ের
চেয়ে বেশি।