একসময় দেশে
এসিড মারার অনেক ঘটনা ঘটতো। এটি খুব জঘন্য একটি অপরাধ। নকল প্রসাধনী পণ্যের
কারণে অনেকে জীবনের সৌন্দর্য নষ্ট ও সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি করছে। এসব নকল
কসমেটিকস তৈরি ও বিক্রয় করা এসিড মারার মতোই একটি গর্হিত অপরাধ।
মঙ্গলবার
(৪ জুন) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক
অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি
বলেন, এসব নকল প্রসাধনী পণ্যের বিরুদ্ধে আমরা প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করি।
কিন্তু, ফেক প্রোডাক্ট বা নকল পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি।
এক্ষেত্রে মিডিয়ার সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
ভোক্তার ডিজি বলেন, আমাদের
অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আসল প্রসাধনী পণ্যের চেয়ে নকল পণ্যগুলো কিছুটা কম দামে
পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এগুলো ক্ষতিকর প্রভাব অনেক বেশি। তাই জনগণের
সচেতনতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রসাধনী পণ্যের
৪৭০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট রয়েছে। আমরা যদি এ খাতে গুরুত্ব দিতে পারি এবং
কোয়ালিটি নিশ্চিত করে অন্তত ১ শতাংশ মার্কেটও ধরতে পারি, তাহলে দেশে ৫
বিলিয়ন ডলারের প্রসাধনী পণ্যের মার্কেটের সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার
অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অব
বাংলাদেশের (এএসবিএমইবি) যৌথ আয়োজনে মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।