![বৃষ্টি আসলেই পানিবন্দি হয় আড়াই শতাধিক পরিবার]( https://www.comillarkagoj.com:443/2024/06/04/CK_1717442376.jpg)
কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়ায় পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায়
সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় দুই শতাধিক
পরিবার। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষি জমি আবাদেও সৃষ্টি
হচ্ছে প্রতিকূলতা। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ওই এলাকার শিক্ষার্থীরাসহ
স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার
মালাপাড়া ইউনিয়নের মালাপাড়া কৃষ্ণপুর এলাকায় পানিনিষ্কাশনের জন্য একটি খাল
ছিল। ওই খালটি সংস্কারের অভাবে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ওই এলাকায়
সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ওই এলাকার ফসলি জমি বৃষ্টির
পানিতে তলিয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। ফলে
দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়
বাসিন্দাসহ কৃষকেরা।
এ বিষয় জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ বিল্লাল
হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ২০০ বিঘা কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য
একটিখাল ছিল। সেটিও সংস্কারের অভাবে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানিনিষ্কাশনে ব্যাঘাত
ঘটছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে পারে না। অন্য দিকে পানিবন্দি হয়ে পড়ে আড়াই
শতাধিক পরিবার। তলিয়ে যায় আবাদি জমি, নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের ঘাম ঝড়ানো ফসল।
তাই আমাদের দাবি পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
স্থানীয়
বাসিন্দা ভুক্তভোগী ডাক্তার জহিরুল হকের মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে
তিনি বলেন, খাল সংস্কারের অভাবে খালের প্রধান মুখটি ভরাট হওয়ায় বৃষ্টি হলে
পানি জমে থাকে, তার ফলে কৃষি জমিতে বছরে একটি ফসল উৎপাদন করতে হয়। তিনি আরও
বলেন, গ্রামে বসবাসরত মানুষগুলো কৃষির উপর নির্ভরশীল তাই তাদের বিশাল
ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়দের ভোগান্তি লাগবে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা জরুরি হয়ে
পড়েছে।
এ ব্যপারে মালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,
লাগাতার বৃষ্টি হলে ওই এলাকায় পানি জমে সামান্য ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এই
সমস্যা নিরসনে অচিরেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) স, ম, আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা
রীতিমতো তথ্য নিয়ে বিএডিসি বরাবর খাল সংস্কারের প্রকল্প চেয়ে আবেদন করেছি।
আশা করছি পরের অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে এ সমস্যার সমাধান হবে।