বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর নির্বাচক থেকে অধিনায়ক সবাইকে যে
প্রশ্নটার সবচেয়ে বেশি মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সেটা হচ্ছে পেস অলরাউন্ডার
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কেন দলে নেই। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে দারুণ পারফর্মের
পর সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন সাইফউদ্দিন।
তাসকিনের
সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহকও (৮ উইকেট) ছিলেন তিনি।
তবুও নির্বাচকদের মন জয় করতে পারেননি। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমেরিকার
টিকিট পেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর
সাইফউদ্দিনকে নিয়ে চারদিকে তুমুল আলোচনা চললেও এই অলরাউন্ডার চুপই ছিলেন।
তবে এবার নিরবতা ভেঙে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের শুভকামনা জানালেন। নিজের
ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অফিসিয়াল গ্রুপ ছবি শেয়ার করে
এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, শুভকামনা বাংলাদেশ দলের জন্য। সেই সঙ্গে জুড়ে
দিয়েছেন প্রার্থনা ও লাভ ইমোজি।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিশ্বকাপ স্কোয়াড
ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, গত ৩০ এপ্রিলই
আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের যে দল পাঠিয়েছিল বিসিবি, সেই দলে কেবল একটি
পরিবর্তন হয়েছে। আর তা হচ্ছে সাইফউদ্দিনের বাদ পড়াটা। সাইফের জায়গা নিয়েছেন
তানজিম। কমিটি ও টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছেন তরুণ এই পেসারের ওপর।
সাইফউদ্দিন
কেন বাদ পড়েছেন, সেটার একটা ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান
নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ‘দুটো রাস্তা ছিল আমাদের সামনে– প্রথমত
দলে থাকা ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন, দ্বিতীয়ত বাকিদেরও পরখ করে
দেখা। আমরা চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম, তার
ওপর অবশ্যই আমাদের আস্থা ছিল। তবে এই (জিম্বাবুয়ে) সিরিজে আমাদের আস্থার
জায়গায় কিছুটা এগিয়ে তানজিম সাকিব। সে কারণে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি।’
তানজিম
সাকিবের ব্যাপারেও নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন তিনি, ‘সাকিবকে আমরা
শ্রীলঙ্কা সিরিজেও দেখেছি। তার একাগ্রতা ও আগ্রাসন খুব ভালো। তার সঙ্গে
সাইফউদ্দিনের প্রতিযোগিতা চলছিল। সে জায়গায় সাকিব উৎরে গেছে। হাসান
মাহমুদকেও আমরা ক্যারি করতে হচ্ছে, তবে আশা করি তাকে খেলানো লাগবে না।’