মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন
টাকায় কেনা সনদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে, বাতিল করবে বোর্ড
প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ১২:৪৫ এএম |



ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানসহ বোর্ডের অন্য কর্মকর্তারা বছরের পর বছর টাকার বিনিময়ে সনদ ও মার্কশিট বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা সনদগুলো কীভাবে শনাক্ত করা যায় সেই তথ্য শামসুজ্জামান আমাদের দিয়েছেন। আমরা সেই তালিকা প্রস্তুত করে বোর্ডের কাছে দেব। তারা সেগুলো বাতিলে ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হারুন বলেন, গত ১ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শামসুজ্জামান পাঁচ হাজার মানুষকে জাল সনদ দিয়েছেন। এমনকি তার সঙ্গে বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও এতে জড়িত রয়েছেন। শামসুজ্জামান রিমান্ডে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা সনদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যার মাধ্যমে সনদ শনাক্ত করে বাতিল করা যাবে। তাই আমরা এই তথ্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবো। পাশাপাশি বুয়েটের এক্সপার্টদের যুক্ত করে এই কাজটি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, শামসুজ্জামানের সহযোগী ফয়সালকে নিয়ে একটি আলাদা বাসায় বসে সনদ তৈরি করতো। যার কারণে বিভিন্ন মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের পর গত ২১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রী জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পর চেয়ারম্যান আলী আকবরকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রিমান্ডে থাকা শামসুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিবির কাছে দিয়েছেন উল্লেখ করে হারুন বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সবকিছু জানানো হবে। এছাড়া বুয়েটের অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে কতগুলো সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করে তারা বিক্রি করেছেন সবগুলো বিষয় তদন্তে আসবে।
ডিবি প্রধান বলেন, বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। উচ্চ পর্যায়ের এই তদন্ত কমিটির কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্য থাকার পরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করে। অভিযুক্ত শামসুজ্জামান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চাকরিচ্যুত ফয়সালকে দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করছিল। জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বোর্ডের ওয়েবসাইটে তারা আপলোড করে।












সর্বশেষ সংবাদ
গণহত্যা দিবস আজ
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা হচ্ছে: তারেক রহমান
রাগবি ফেডারেশনের সভাপতি হলেন কুমিল্লার কৃতী সন্তান জহির স্বপন
বেলালের পরিবারে কান্নার রোল
তিতাসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, লাখ টাকা জরিমানা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় একটি বিয়ের আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান
ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
কোন অবস্থাতেই অপকর্ম মেনে নেওয়া হবে না: হাজী ইয়াছিন
রাগবি ফেডারেশনের সভাপতি হলেন কুমিল্লার কৃতী সন্তান জহির স্বপন
কুমিল্লায় এনসিপির ইফতার মাহফিল
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২