ইনিংসের
শুরুতে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সুরটা বেঁধে দিলেন ট্রাভিস হেড। এরপর ব্যাটকে তরবারি
বানিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের রীতিমত কচুকাটা করলেন অভিশেক
শার্মা, হাইনরিখ ক্লসেন ও এইডেন মারক্রাম। তাদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে
আইপিএলে রেকর্ড পুঁজি গড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
ঘরের মাঠ রাজিব গান্ধী
স্টেডিয়ামে বুধবার চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরান হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা। ২০
ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে দলটি। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ
দলীয় সংগ্রহ।
আগের রেকর্ডটি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩
সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল দলটি। এক দশক পর
সেই রেকর্ড ভেঙে দিল হায়দরাবাদ।
১০ বছর আগের ওই ম্যাচে বেঙ্গালুরুর হয়ে
একাই অপরাজিত ১৭৫ রান করেছিলেন ক্রিস গেইল। আইপিএল তো বটেই, স্বীকৃত
টি-টোয়েন্টিতে এটি এখনও সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
হায়দরাবাদের হয়ে এদিন অবশ্য সেঞ্চুরি করেননি কেউ। হেড, অভিষেক, ক্লসেনের ফিফটি ও মারক্রামের কার্যকর ইনিংসে রেকর্ড গড়ে দলটি।
২০১৭
সালের পর প্রথমবার আইপিএলে খেলতে নেমে ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ২৪ বলে ৬২ রান
করেন হেড। অভিশেক খেলেন ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ২৩ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
তাদের দুইজনের জুটিতে ২৩ বলে আসে ৬৩ রান।
শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা
ক্লসেনের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। তার ৩৪ বলের ইনিংসে ৭ ছক্কার সঙ্গে চার
৪টি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২০৯ রান তাড়ায় ৬৩ রানের
খুনে ইনিংস খেলে দলের জয়ের সম্ভাবনা জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও ম্যাচটি ৪
রানে হেরে যায় হায়দরাবাদ।
দলকে রেকর্ডের চূড়ায় তোলার পথে মারক্রাম ২৮
বলে করেন ৪২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকান এই দুই ব্যাটসম্যানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে
৫৫ বলে আসে ১১৬ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদকে উড়ন্ত সূচনা
এনে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব হেডের। আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা দক্ষিণ
আফ্রিকান তরুণ পেসার কিউনা মাফাকার ওপর ঝড় বইয়ে দেন তিনি। তৃতীয় ওভারে টানা
দুই ছক্কা ও দুই চার মারেন অস্ট্রেলিয়ান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পঞ্চম
ওভারে মায়াঙ্ক আগারওয়াল সাজঘরে ফিরলেও হেড খেলে যান নিজের মতো। ওই ওভারেই
হার্দিক পান্ডিয়াকে মারেন তিন চার। ১৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন হেড। পাওয়ার
প্লের শেষ ওভার করতে আসা জেরল্ড কুটসিয়া দেন ২৩ রান। প্রথম ৬ ওভারে ৮১ রান
তোলে হায়দরাবাদ।
অষ্টম ওভারে কুটসিয়ার বলে বিদায় নেন হেড। তাতে একটুও
ভড়কে যাননি অভিশেক। পিযুষ চাওলাকে তিন ছক্কা মারা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান
মাফাকার ওভারে হাঁকান আরও দুটি। ১৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে গড়েন হায়দরবাদের হয়ে
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
১০ ওভারে ১৪৮ রান করা দলটি পরের ওভারে হারায় অভিশেককে। এরপর দলকে রানের পাহাড়ে তোলেন ক্লসেন ও মারক্রাম।
২৩
বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ক্লসেন। ইনিংসের শেষ ওভারে শামস মুলানিকে দুই ছক্কা
মেরে আইপিএলে দলীয় ইনিংসের নতুন রেকর্ডে হায়দরাবাদের নাম লেখান তিনি।
আইপিএল
অভিষেকটা দুঃস্বপ্নের মতো কাটল মাফাকার। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে
সর্বোচ্চ ৬৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন এই পেসার। ৫৭ রান দিয়ে এক উইকেট
নেন কুটসিয়া।.