বছরজুড়েই নিত্যপণ্যের চড়া দামে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। রমজান মাস সামনে রেখে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে বাজার। চোখ রাঙাচ্ছে রোজায় চাহিদার শীর্ষে থাকা পণ্যগুলো।
কয়েকদিন আগেই চিনির ৫০ কেজির বস্তার দাম বেড়েছিল ২০০ টাকার ওপরে। দুইদিন যেতে না যেতেই আবারও বস্তায় বাড়ানো হয়েছে ১০০ টাকা। খুচরাও কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। শুধু চিনি নয়, রমজান মাসকে সামনে রেখে লাগামহীন অধিকাংশ পণ্যের দাম। এই তালিকায় রোজায় চাহিদার শীর্ষে থাকে খেজুর ও ছোলা। সপ্তাহ ব্যবধানে মানভেদে খেজুরের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এতে বর্তমানে বাজারে মানভেদে খেজুরের কেজি ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠে গেছে। চিনির দাম নিয়ে এক বিক্রেতা বলেন, চিনির সরবরাহ মাঝেমধ্যে আসে। মাঝেমধ্যে আসে না। এর কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। মিল মালিকরা আমাদের বিক্রয় রশিদ দেন না। তাই আমরা চিনি রাখছি না।
এছাড়া ছোলার দাম বেড়েছে ৫ টাকা। বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে ছোলার কেজি ১০৫ টাকা থেকে ১১৫ টাকা। এতে চিঁড়েচ্যাপটা অবস্থা আগে থেকেই বাড়তি দামে চাপে থাকা সাধারণ মানুষের।
নিত্যপণ্যের চড়া দামে নাজেহাল এক ক্রেতা বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের, আমাদের পক্ষে বাজারে এসে পণ্য কেনা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা যদি বাজারে ১/২ হাজার টাকা নিয়ে আসি, তাতেও চাহিদা অনুসারে বাজার করতে পারছি না।আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য অনেক বেশি। এটি আমাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। কাজেই সরকার যদি বাজার তদারকি করেন, তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়। এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র। এক ব্যবসায়ী বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য উৎপাদন হয়নি। তাই চাহিদা অনুসারে বাজারে জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে উদ্যোগের কমতি নেই সরকারের। তবে বাস্তবে এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে।