কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলায় আবাদযোগ্য কৃষিজমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে
রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ও কোনো
ধরনের অনুমতি ছাড়াই ফসলি জমির টপ সয়েল কাটার অভিযোগে পৃথক অভিযানে জরিমানা,
কারাদণ্ড ও বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮
ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের লোলবাড়িয়া
গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার। অভিযানে আবাদযোগ্য কৃষিজমির মাটি
কাটার দায়ে লোলবাড়িয়া গ্রামের সৈয়দ কাশেদুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয় এবং মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। জব্দকৃত
এস্কেভেটরটি বর্তমানে উপজেলা পরিষদ মাঠে রাখা হয়েছে এবং এ বিষয়ে পরবর্তী
আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অভিযানে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ ও আনসার
সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগের দিন বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা
প্রশাসন জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের লামপুর এবং চৌয়ারা ইউনিয়নের পিপুলিয়া
বাজার সংলগ্ন টঙ্গীরপাড় এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে অবৈধভাবে
ফসলি জমির টপ সয়েল কাটার দায়ে জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামের
মৃত সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র ঠিকাদার মোহাম্মদ তাজু (৪৬) কে ভ্রাম্যমাণ
আদালতে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
এ সময় মাটিভর্তি ৪টি ট্রাক্টর এবং মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর
জব্দ করা হয়। পাশাপাশি টঙ্গীরপাড় এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আরও একটি
এস্কেভেটর জব্দ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার জানান, জব্দকৃত যানবাহন ছাড়ানোর জন্য বিভিন্ন
মহল থেকে তদবির ও সুপারিশ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সরকারি কাজে বাধা প্রদান বা
একই ধরনের অপরাধ পুনরায় সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায় দৈনিক
কুমিল্লার কাগজকে বলেন, অবৈধভাবে মাটি বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত
ব্যক্তি এবং যেসব যানবাহন এ কাজে ব্যবহৃত হবে, সেগুলো উপজেলার যেখানেই
পাওয়া যাবে সেখানেই জব্দ করা হবে। কোনোভাবেই ফসলি জমির টপ সয়েল বিক্রির
সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলার
প্রস্তুতিও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
