কুমিল্লার
লালমাইয়ে মহান বিজয় দিবসে ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে বিজয় র্যালী করা
হয়েছে। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে
শূরার সদস্য ও কুমিল্লা-১০ (লালমাই-নাঙ্গলকোট) আসনে জামায়াত মনোনীত
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত
বলেন, "১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাসের লড়াই-সংগ্রামের
মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু বিগত ৫৪ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল
দেশ শাসন করলেও জনগণ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায়নি। বিগত সময়ে কাটাতারের
বেড়ার উপর ফেলানীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। বিশ্বের কোথাও এমন
সীমান্ত নেই, যেখানে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের জনগণকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা
করে। এদেশের নতজানু পররাষ্ট্র নীতিই আমাদেরকে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে
দেয়নি। বিগত সময়ে যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তারাই মানুষের মৌলিক
অধিকারগুলো কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্র দখল করে
ভোট গ্রহণ, জনগণের মতামতের উপর জোর চাপিয়ে দেয়ার কারণেই আমাদের স্বাধীনতা
অর্থবহ হয়নি। তাছাড়া ইসলামী শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ এবং মাটির জন্য
ভূমিকা রাখতে পারেনি। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রত্যেকটি ইসলামিক দল এক
কাতারে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি ইসলামিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলে
এবং দেশের জনগণ যদি আল্লাহর উপর ভরসা করে। আগামী দিনে ভারতীয়রা এদেশের
মানুষের উপর আর চোখ রাঙাতে পারবে না। এদেশে আর কোনো তাবেদার ব্যক্তি
রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না। চব্বিশের গণআন্দোলনে ২ হাজারের অধিক
ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে আমাদেরকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এরপরও আমাদের
এই সবুজ ভূখন্ডকে নিয়ে কেউ যদি ছিনিমিনি খেলতে চায় এবং সবুজ জমিনকে কেউ
যদি হুমকি দিতে চায় তাহলে ইসলামি ছাত্রশিবির ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে সকল
ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।"
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মহান বিজয় দিবস
উপলক্ষে কুমিল্লা লালমাই উপজেলা ছাত্র শিবিরের বিজয় র্যালিতে এবং একই দিন
বিকেল ৪টায় উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজয় র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত
ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. আবদুন নূর, সেক্রেটারী ইমাম হোসাইন,
ঢাকাস্থ লালমাই ফোরামের সভাপতি জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা
ছাত্রশিবিরের সভাপতি মহিউদ্দিন রনি, সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান, উপজেলা
ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল করিম রাজুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্বশীলরা।
পরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণআন্দোলনে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত
কামনা করে দোয়া করা হয়।
