
স্টাফ
রিপোর্টার: কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক পাঁচ বারের এমপি ও মন্ত্রী,
সাবেক হুইপ, আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের বিরূদ্ধে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যাচার, বিকৃত ভিডিও বানানোর প্রতিবাদে সংবাদ
সম্মেলন করেছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
২৬ নভেম্বর (বুধবার) কুমিল্লার একটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
মুরাদনগরের
সাবেক ফ্যাসিস্ট এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের
সরাসরি সহযোগিতায় 'গোমতী টিভি' নামের ফেসবুক পেইজে রাজিব এসব অপকর্ম করছে
বলে অভিযোগ করেন তারা। তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা এবং অতি
দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা না নিলে সারাদেশে আন্দোলনের হুশিয়ারি
দেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির
নেতাকর্মীরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, কুমিল্লা (৩) মুরাদনগরের সাবেক ৫ বারের
এমপি ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও
সাবেক হইপ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ শুধু কুমিল্লা নয় সারাদেশেই
প্রশংসিত। মুরাদনগরের মানুষের কাছে তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নয় তিনি
মুরাদনগরের আপামর জনতার অভিভাবক। এ জন্য সবাই তাকে ভালবেসে 'দাদাভাই' বলে
ডাকে।
কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদাভাইয়ের ঘাঁটি খ্যাত
মুরাদনগরে দাদার বিকল্প কেউ নেই। জনগণের কাছে তিনি এতই জনপ্রিয় যে
মুরাদনগরের জনগণ বিপুল ভোটে দাদাকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে।
জনপ্রিয়তা
ই কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদার একমাত্র অপরাধ যার কারনে আওয়ামী
লীগের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা কাজী শাহ
মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে গুলি করে হত্যা করে ব্রিকফ্লিডে পুড়িয়ে ফেলতে
চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়িয়ে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জনগণের ভালবাসায় দাদাভাই যখন
দেশে ফিরলেন তখন থেকেই আওয়ামী লীগের সাবেক অবৈধ এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ
হারুন ও বিতর্কিত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া গংরা মিলে ধর্ষন মামলার
আসামি মাদকাসক্ত রাজিব আহমদকে দিয়ে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ
দাদাভাই এবং বিএনপি ও বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে একের পর এক বিকৃত ভিডিও ও
মিথ্যাচার করে আসছে।
বিশেষ করে মুরাদনগরে বিএনপির জনপ্রিয় ইউনিয়ন
নেতাদের টার্গেট করে চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে
চাঁদাবাজির অভিযোগ শিরোনামে ভিডিও তৈরি করে তার ফেসবুক আইডি এবং তার
ব্যবহৃত বিভিন্ন ফেইক আইডিতে কুৎসা রটায়। এবং সমাজের সম্মানিত ব্যাক্তিদের
মানহানি করে।
ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি মামলাও
রয়েছে। অবাক করা বিষয় হল পুলিশ তাকে আটক না করে আদালতে তার পক্ষেই কয়েকটি
মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পুলিশের এ সহযোগিতার কারনেই রাজিব আরো
বেপরোয়া হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ
দাদাকে উচ্চারণ অযোগ্য ভাষায় গালাগালি করে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক প্রচার করে।
অত্যান্ত
পরিতাপের বিষয় এই যে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ৫ বারের এমপি ও
মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদাভাইকে জড়িয়ে মাদকাসক্ত রাজিব
একের পর এক মিথ্যাচার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানি করছে।
আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্ত কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ
এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তার দাদা ছিলেন দেশবরেণ্য আলেমে
দ্বীন।
মুরাদনগরের সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্বা ও আবেগের নাম কাজী
পরিবার। অথচ এ পরিবার ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদার নাম বিকৃত
করে একের পর এক ভিডিও বানিয়ে সারাদেশে সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল
হোসেন কায়কোবাদ দাদা এবং তার পরিবারের মানহানি এবং বিএনপির মানহানি করলেও
ডজন খানেক মামলার আসামি রাজিব আহমেদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা
নেয়নি।
যার ফলে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আরো বিশ্রি ও ব্যাক্তি কাজী শাহ
মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদার নাম বিকৃত ভাবে উল্লেখ করে জনগণের মাঝে
দাদাভাইয়ের সম্পর্কে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। এহেন অবস্থায়ও প্রশাসন
নিরব। শুধু তাই নয় আমরা আমাদের আইনজীবী বিএনপি নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকসহ পুলিশ
সুপার নাজির আহমেদ খানকে রাজিবের অপকর্ম সম্পর্কে অবহিত করলেও পুলিশ সুপার
কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি স্পষ্ট যে পুলিশ সুপার ও মুরাদনগরের দুই থানার
ওসির সার্বিক সহযোগিতায় মাদকাসক্ত রাজিব এমন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির
ধানের শীষের মনোনয়ন প্রাপ্ত ও সাবেক ৫ বারের এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন
কায়কোবাদ দাদার মত একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিকৃত
ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে মানহানি করার পরেও যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে
কি আমরা ধরে নেব! সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ের কারো ইশারায় এহেন অপকর্ম
চলমান?
আমরা আপনাদের মাধ্যমে কুমিল্লার এসপি ওসির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
অবিলম্বে চাঁদাবাজ ও ডজনখানেক মামলার আসামি রাজিব আহমেদকে গ্রেফতার করা
হউক।
কুমিল্লা নগরীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্য পাঠ করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অন্জন, যুগ্ম আহবায়ক
কামাল উদ্দিন ভুইয়া, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনা আক্তার মিনা।
নবীপুর
পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান মাহমুদ। উপজেলা
জিসাসের যুগ্ম আহবায়ক আবদুর রহিম। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান
উদ্দিন রায়হান। বিএনপি নেতা মুখলেছুর রহমান হিরন,সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফুল
ইসলাম বাবু
