রণবীর ঘোষ কিংকর।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের
জায়গা দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাটে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। এতে দুই
শতাধিক ছোট-বড় অবৈধ দোকান-পাট গুড়িয়ে দেয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা
যায়- স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনের উভয়
পাশে দীর্ঘ বছরের পর বছর দোকান-ঘর নির্মান করে দখল করে রাখে। ওইসব দোকান ঘর
থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করতো মহলটি। আওয়ামী
লীগের পতন ঘটার পর চাঁদাবাজদের হাত বদল হয়। গত এক বছরে দুইবার ওইসব অবৈধ
দখলদারদের উচ্ছেদ করলেও একদিন পর আবারও দখলে নেয় তারা। দখল দারিত্ব ফিরে
আসে আগের রূপে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.
সফিকুল ইসলাম ভূইয়ার নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উচ্ছেদ
অভিযান করে দুই শতাধিক ছোট-বড় দোকান-পাট গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে সহায়তা
করে হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানা ও সেনাবাহিনীর একটি টিম।
এর আগে আওয়ামী
লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর একই স্থানে প্রথমবারের মতো
অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কিন্তু
কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় একই স্থানে নতুন দোকান গড়ে ওঠে। পরে গত ১৮ মে
দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে আবারও প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
তবে মাত্র ছয় মাস না যেতেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুনরায় অবৈধ স্থাপনা
গড়ে ওঠায় তৃতীয়বারের মতো এই অভিযান পরিচালনা করে সওজ বিভাগ।
স্থানীয়
সচেতন মহল মনে করেন- প্রশাসনের বারবার উচ্ছেদ অভিযানের পরও একই স্থানে অবৈধ
দোকান গড়ে ওঠা দুঃখজনক। তারা দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার
আহ্বান জানান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.
সফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন- “মহাসড়কের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে এই
অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কেউ যেন পুনরায় সরকারি জায়গা দখল না করতে পারে,
সে বিষয়ে আমরা নিয়মিত নজরদারি রাখব।”
