দেশব্যাপী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের এক দিন
পর সংগঠনটির কুমিল্লা জেলা কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুগ্ম আহ্বায়ক
মো. সফিউল্লাহ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে
পদত্যাগপত্রটি তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে সংগঠন থেকে
স্বেচ্ছায় পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন।
সফিউল্লাহ বলেন, আমি দীর্ঘদিন এ
সংগঠনের কুমিল্লা জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করেছি।কিন্তু
দুঃখের বিষয় আজ সেই আন্দোলনের ভেতরে এমন কিছু অপসংস্কৃতি ও অনৈতিক
কর্মকাণ্ড জন্ম নিয়েছে যা আমাদের রক্তঝরা সংগ্রাম ও ত্যাগকে উপহাস করেছে।
যেখানে আত্মত্যাগের জায়গায় স্বার্থপরতা, যেখানে চেতনার জায়গায়
ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা, সেখানে বিবেকবান একজন মানুষের পক্ষে চুপ থাকা মানে
অপরাধে নীরব অংশীদার হওয়া। আমি সেই অপরাধে শরিক হতে পারি না। তাই আমি
স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলা কমিটির
নির্বাহী সদস্য ও যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
তিনি আরও বলেন,
আমি কখনো ব্যক্তিস্বার্থ, লোভ বা অনৈতিক কোন লাভের চিন্তায় আন্দোলনে অংশ
নেয়নি। আদর্শ, সততা, আর শহিদদের রক্তের প্রতি দায়বদ্ধতাই ছিল আমার একমাত্র
চালিকা শক্তি। আমি যা কিছু করেছি, তা সংগঠনের মর্যাদা, দেশের প্রতি
ভালোবাসা এবং জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকে প্রেরণা নিয়ে করেছি। এ বিষয়ে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলের কুমিল্লা মহানগরের আহবায়ক মো. আবু রায়হান বলেন,
মো. সফিউল্লাহ জুলাই আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। তার পদত্যাগপত্রটি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে জানতে পেরেছি। কি কারণে পদত্যাগ করছেন বিষয়টি
আমি খোঁজ খবর নেবো। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরধী ছাত্র আন্দোলন
গণঅভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম। গত ১৭ বছর যখন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল
ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছিল তখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে
বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতা রাজপথে বুলেটের সামনে রুখে দাঁড়িয়ে ছিল খুনি
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কবল থেকে এদেশকে মুক্ত করার জন্য। গণঅভ্যুত্থান সফল
হওয়ার পরে জেলা-মহানগর গুলোতে অনেক কমিটি-উপ কমিটি হয়েছে, তাদের মধ্যে
থেকে কিছু কিছু ভাইয়েরা পদত্যাগ করতেছে। আমরা তাদের মতামত কে সম্মান
জানাই।
