ভাসানী জনশক্তি পাটির আয়োজনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও টেকসই গণতন্ত্র শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার
২৫ শে অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন হলে আলোচনা সভা প্রধান
অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয়
পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয়
নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স
পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, জেএসডি সিনিয়র সহ-সভাপতি মিসেস
তানিয়া রব,বর্তমান সমন্বয় গণতন্ত্র মঞ্চ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার
আন্দোলনের সভাপতি এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)
প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোঃ নাহিদ, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সাবেক মহাসচিব
মিসেস বিলকিস খন্দকার, ভাসানী জনশক্তি পার্টির মহাসচিব ডক্টর আবু ইউসুফ
সেলিম, তোর সম্পাদক ডক্টর সম্পাদক সফররাজ হোসেন মজুমদার সহ কেন্দ্রীয়
নেতৃবৃন্দের বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী
নাহিদ বলেন - ফ্যাস্টিস বিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রকে সংহত করার জন্য বিএনপি
সহ সমস্ত জোটগত দলগুলোকে সাথে নিয়ে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে আগামীর
জাতীয় নির্বাচনে গণতন্ত্র কামী সকল শরিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘটবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র
করে যে ধরনের পাঁয়তারা চলছে হালুয়া রুটির রাজনীতির ভাগাভাগি নিয়ে কেন্দ্র
ভিত্তিক বা বিভিন্ন জায়গায় যে ধরনের মহড়া চলছে এটা কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য
শুভ লক্ষণ নয়। আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণ যে
প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করেছিলো প্রত্যাশা পূরণের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ
নির্বাচন হবে একটি নিরপেক্ষ। যেখানে মানুষ স্বাধীন ভাবে তার ভোটাধিকার
প্রয়োগ করবে। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেখানে সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে
দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আমরা যোগগতভাবে
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব এবং পরবর্তীতে একটি জাতীয় সরকারের মাধ্যমে
দেশের হোঁচট খাওয়া গণতন্ত্র কে আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশের জনগণ কে
উপহার দিতে সক্ষম হব।
