কুমিল্লা
ট্রমা সেন্টারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের উপর সচেতনতা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ( ১১ অক্টোবর)কুমিল্লা কান্দিরপাড় ট্রমা হাসপাতালে উক্ত
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ট্রমা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো:
আবদুল হকের সভাপতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা.
আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহম্মেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.
রেজা মো. সারোয়ার আকবর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কুমিল্লা জেলা সিভিল
সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহম্মেদ ক্রেস্ট প্রদান করেন ট্রমা
সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুক হককে।
অনুষ্ঠান
সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রমা সেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা মো.
জহিরুল ইসলাম। এসময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রেস্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট ডা. কাজী ইশরাত জাহান, ময়নামতি মেডিক্যাল কলেজের সহকারী
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. কামরুল ইসলাম মামুন এবং কুমিল্লা ইনস্টিটিউট
অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস এর পরিচালক ডা. এম.এম.
আরিফ হোসেন । এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ও
বিভাগীয় প্রধান ডা. সফিউল আজম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: জয়দীপ
দত্ত গুপ্ত, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি কুমিল্লার সভাপতি অধ্যাপক ডা:
জাহাঙ্গীর হোসেন ভ‚ইয়া, মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডাঃ সফি উল্লাসহ হসপিটালের
কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন।
এসময় বক্তারা বলেন, স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে
সামাজিক ট্যাবু ও ভয় দূর করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ও চিকিৎসা
নিশ্চিত করা গেলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। আমরা চাই কুমিল্লা থেকে শুরু
হোক ক্যান্সারবিরোধী সচেতনতার নতুন ধারা।
এদিকে বিশ্বব্যাপী অক্টোবর
মাসকে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস মাস’ হিসেবে পালন করা হয়। এ বিষয়ে
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন,অনুষ্ঠানটি নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় ইতিবাচক
প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে আগত বক্তারা বলেন, দেশে দুই দশক ধরে স্তন
ক্যান্সার সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হলেও প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে
স্ক্রিনিং সেবা এখনো যথাযথভাবে গড়ে ওঠেনি। প্রতিবছর কত নারী এই রোগে
আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কতজন মারা যাচ্ছেন এর সঠিক তথ্য সরকারের কাছে নেই। ফলে
বাংলাদেশকে এখনও আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিসংখ্যানে নির্ভর করতে হচ্ছে। এসময়
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো.
সারোয়ার আকবর।
বক্তারা আরও জানান, প্রতি ৮ জন নারীর মধ্যে একজন স্তন
ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্বে নতুন রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ
ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন প্রায় ৬ লাখ ৮৫ হাজার নারী। একই বছরে বাংলাদেশে
আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার নারী এবং মারা গেছেন ৬,৭৮৩ জন। অর্থাৎ দেশে
প্রতিদিন গড়ে ৩৬ জন নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত হলে চিকিৎসায় সাফল্যের হার অনেক বেশি,
তবে দেশে স্ক্রিনিং ও প্রাথমিক সেবা সীমিত। সারাদেশে ব্যাপক স্ক্রিনিং
কর্মসূচি নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
