শারদীয়
দুর্গা পূজার আনন্দ আর উৎসব এখন পুরো কুমিল্লাকে মাতিয়ে রেখেছে। মহাষষ্ঠী
পূজার আগেই প্রতিটি পূজা মণ্ডপে চলছে তৎপরতা, সাজসজ্জা ও বর্ণিল আয়োজন।
পাঁচ দিনের এই উৎসব শুরুর আগে প্রতিমা তৈরির কারিগররা দিন-রাত এক করে শেষ
মুহূর্তের কাজ সামলাচ্ছেন। কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে জীবন্ত
নকশার প্রতিমা, যেখানে দেবী দুর্গার রূপ-রেখা থেকে শুরু করে ছোটখাটো সকল
পুঁতির কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।
প্রতিমা তৈরির কারিগররা শেষ রং
তুলির আঁচড়ে দেবী প্রতিমায় প্রাণ সঞ্চার করছেন। এই সময়টায় তারা সম্পূর্ণ
একাগ্রতা ও যত্নের সাথে কাজ করছেন যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে। কারিগররা
বলেন, “আমরা বছর জুড়েই এই পূজার অপেক্ষায় থাকি। প্রতিমা তৈরির কাজ অত্যন্ত
যত্নসাপেক্ষ এবং উৎসবের মাহাত্ম্যের কারণে আমরা চাই প্রতিমা যেন দর্শকদের
মুগ্ধ করে।”
শুধু প্রতিমা তৈরিতেই নয়, পূজার মণ্ডপগুলোকে সাজাতে লাইটিং,
প্যান্ডেল নির্মাণ, ফুলের সাজসজ্জা, রঙিন ব্যানার, ধ্বজা ও পার্কোর নানা
আনুষাঙ্গিক বসানো হচ্ছে। মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার
দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্তরা এই
সময় বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করে পূজায় অংশগ্রহণ করবেন। স্থানীয় প্রশাসন ও
পুলিশ বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যাতে উৎসব নির্বিঘ্নে
সম্পন্ন হয়।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হতে
যাওয়া শারদীয় দুর্গা পূজা আগামী পাঁচ দিন ব্যাপী চলবে। দশমী তিথি পর্যন্ত
নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লার
বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের অনুষ্ঠানে ভক্ত ও দর্শণার্থীদের মুখরিত করবে।
পূজার
আয়োজকরা জানিয়েছেন- যে কোন বছরের তুলনায় এবার ব্যাপক আয়োজনে শারদীয়
দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। আমরা আশা করি এই শারদীয় দুর্গা পূজা কুমিল্লার
মানুষের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্যের বার্তা বয়ে আনবে।
এ ব্যাপারে
কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা
নির্মল পাল ট্রাস্টি জানান- “শারদীয় দুর্গা পূজা শুধু একটি ধর্মীয়
অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। প্রতিটি মণ্ডপে আমরা
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসবকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার
চেষ্টা করছি। প্রশাসনও আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।