কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের ৮ দিন পর হনুফা বেগম (৪৭) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের গৌরসার গ্রামের একটি নির্জন বাঁশঝাড় থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত
হনুফা বেগম দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিবের
স্ত্রী। তিনি চান্দিনা উপজেলা সদরের নূর বেকারীতে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা
জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গৌরসার গ্রামের ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর বাড়ির দক্ষিণ
পাশে একটি পরিত্যক্ত বাঁশঝাড়ের নিচে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহটি পড়ে থাকতে
দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। পরে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক
(এসআই) মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি
উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাত এক নারীর
মরদেহের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থানায় গিয়ে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন নিহতের
ছেলে জুয়েল মুন্সী।
জুয়েল রানা কুমিল্লার কাগজকে বলেন, বাবা মারা
যাওয়ার পর চান্দিনা একটি বেকারিতে কাজ আমাদের সংসার চালাত। গত কয়েক মাস ধরে
আমার মা অনেক থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েকদিন আগে মা ঢাকায় একটি চাকরী নেন।
গত ৪ জুলাই মা বাড়িতে আসেন, এরপর গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ঢাকার
উদ্দেশ্যে বের হয়। রাতে খোঁজ নিতে দেখি মার ফোন নম্বর বন্ধ। সে থেকে তার
মোবাইলে আরও পাওয়া যায়নি। দুপুরে মায়ের পরনের কাপড় দেখে মায়ের মরদেহ চিনতে
পেরেছি।
নিহতের ভাই মনির হোসেন বলেন, তার বোন হনুফা বেগম পার্শ্ববর্তী
উপজেলা চান্দিনার নূর বেকারিতে চাকরী করত। সোমবার বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ পর
আবার বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আজ
দুপুরে খবর পেয়ে হনুফার ছেলে জুয়েল রানা এসে লাশ শনাক্ত করেন। হনুফাকে কেউ
হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে যায়।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, প্রথমে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পরে তার ছেলে এসে ওই নারী মরদেহ শনাক্ত করে। নিহতের মাথা, গলা ও বাম চোখের
ওপর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনিরা তাকে খুন করে নির্জনস্থানে এলাকায় ফেলে
গেছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে মর্গে পাঠানো হবে।