নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীরকে ধর্ষণ ও
ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তীব্র নিন্দা ও গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও
দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। রবিবার (২৯ জুন) এক সংবাদ
বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনাটি শুধু একটি
ভয়াবহ অপরাধ নয়, বরং নারীর প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ এবং বিদ্বেষের
নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, যা বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের
মৌলিক ভিত্তিকে লঙ্ঘন করে। আসক মনে করে, এই অপরাধের পেছনে কেবল ব্যক্তি নয়,
বরং সরকারের নির্লিপ্ততা ও দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং
প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে ব্যর্থতা কাজ করছে।
বিবৃতিতে আরও
বলা হয়, একজন নারী তার নিজ ঘরে, নিজ পরিচয়ে সুরক্ষিত না থাকলে, তা
রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা ও নিরাপত্তাহীনতা নির্দেশ করে। অতীতে নারীদের ওপর
হামলা, নিপীড়ন নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিলম্বিত বা অপরাধীদের রক্ষা করার যে
প্রবণতা দেখা গেছে, এই ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা বলে বিবেচিত হতে পারে।
আইন
ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জোর দাবি জানাচ্ছে- এ ঘটনার যথাযথ ও দ্রুত তদন্ত
সম্পন্ন করে অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে
ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিপূরণ দেওয়া,
প্রয়োজনীয় আইনি, মানসিক ও স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে
হবে।