ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু সংবিধানের
৮(এফ) ধারার আওতায় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এদিন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ অনুমোদন হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়। ১০ জনের মধ্যে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে।
বাকি নয় রিটার্নিং কর্মকর্তা হলেন-
১. অধ্যাপক ড. এ এস এম মহিউদ্দিন (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ)
২. অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)
৩. অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক (তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
৪. অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম (উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ)
৫. অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা (স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট)
৬. অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম (শহীদুল জাহীদ) (ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ)
৭. অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর (বাংলা বিভাগ)
৮. অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ)
৯. সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)
ডাকসু নির্বাচনের কমিশন ঘোষণার দাবিতে গত রোববার থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন একদল শিক্ষার্থী।
তাদের
আন্দোলনের মধ্যে সেদিন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন,
“আগামীকাল বিকালে সিন্ডিকেট মিটিং আছে। মিটিংয়ে আমরা ডাকসুর নির্বাচন
কমিশনটা পাস করিয়ে নেব। এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”
সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে ৬ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন ছিল।
এবার চারজন বাড়ানোর কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে।
স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়ে ২০১৯ সালে। সেই সংসদের মেয়াদপূর্তির পর পেরিয়ে গেছে আরো পাঁচ বছর।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটের পরিকল্পনার কথা বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।