আইসিসি
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে দক্ষিণ
আফ্রিকা। এর মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। চতুর্থ
চক্রে (২০২৫-২৭) ৬ সিরিজে ১২টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরমধ্যে তিনটি সিরিজ
ঘরের মাঠে, বাকি তিনটি বিদেশের মাটিতে। টাইগারদের সবগুলো সিরিজই দুই
ম্যাচের হবে।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজ
দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর শুরু হবে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও এই
চক্রে বিদেশের মাটিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দেশের মাটিতে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা আছে টাইগারদের।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম
চক্রে (২০১৯-২১) ৭ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই আসরে কোনো ম্যাচ জিততে
পারেনি তারা। ৬ হারের সাথে ১টি ম্যাচ ড্র করেছিল টাইগাররা। নয় দলের আসরে
নবম ও শেষ স্থানে ছিল বাংলাদেশ।
প্রথম আসরে জয়হীন থাকলেও দ্বিতীয়
চক্রে (২০২১-২৩) প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারায় টাইগাররা। ঐ আসরে ১২
ম্যাচ খেলে ১টি করে জয়-ড্র এবং ১০টি ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ফলে নয় দলের
মধ্যে টেবিলের তলানিতে ছিল তারা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরে
টেবিলের তলানিতে থাকলেও, সদ্য শেষ হওয়া তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) নয় দলের
মধ্যে সপ্তম হয় বাংলাদেশ। ১২ ম্যাচে ৪ জয় ও ৮ হারের স্বাদ পায় টাইগাররা। এই
চক্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’টি, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
১টি করে জয় পায় বাংলাদেশ।
চতুর্থ চক্রে বাংলাদেশের মত অন্য আট দলও
সমান ছয়টি করে সিরিজ খেলবে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে
অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। এ ছাড়া ভারত
১৮টি, নিউজিল্যান্ড ১৬টি, দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪টি করে,
পাকিস্তান ১৩টি এবং শ্রীলংকা ১২টি ম্যাচ খেলবে। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ চক্রে ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি। সর্বমোট
সিরিজ হবে ২৭টি।