রণবীর ঘোষ কিংকর।
যে
কোন ঈদের ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দুর্ঘটনা যেন ছিল
স্বাভাবিক ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় বহু পরিবারের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। তবে
এবার ঈদের লম্বা ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বড় কোন
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আঞ্চলিক মহাসড়কে পৃথক ২টি দুর্ঘটনায় ২জন
নিহত হয়েছে। তবে মহাসড়কে বড় দুর্ঘটনা না হওয়ার ব্যাপারে যৌথবাহিনীর
অভিযানকে সাদুবাদ জানিয়েছেন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো।
জানা
যায়- ঈদের পূর্ব মুহুর্ত থেকে যানজট নিরসন, গতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে যান
চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ সড়ক মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিরলস ভাবে কাজ
করছে যৌথ বাহিনী। বিশেষ করে সেনা বাহিনীর নিরন্তর প্রচেষ্টায় মহাসড়কের
কুমিল্লা অংশ ছিল সম্পূণ যানজট মুক্ত। এছাড়া অন্যান্য বছর ঈদের দিন ফাঁকা
মহাসড়কে উঠতি বয়সী ছেলেদের মোটরসাইকেল মহড়া, পিকআপ ভ্যানে ডিজে পার্টিতে
নাচানাচি। কিন্তু এ বছর মহাসড়কে সেনাবাহিনী তৎপর থাকায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল
মহড়া এবং ডিজে পার্টির বখাটেদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। যানবাহনের গতিও ছিল
স্বাভাবিক। যে কারণে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ছিল যানজট ও দুর্ঘটনা মুক্ত।
এদিকে,
কুমিল্লার আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে পৃথক ২টি দুর্ঘটনায় ২জন নিহত হয়েছে। গত
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং
উপজেলার রামপুর ও দেবীদ্বারের বড় শালঘর এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুইটি বাস
খাদে পড়ে ২ নারী যাত্রী নিহত হয়। তারা হলো- নেত্রকোণা জেলার মদন থানার
নায়েকপুর গ্রামের বোকদাদ মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯) এবং একই থানার
আলমশ্রী গ্রামের মৃত বজু মিয়ার মেয়ে পুষ্প আক্তার (২৪)।
ফাঁকা বা
ব্যস্ত মহাসড়কে কোন প্রকার দুর্ঘটনা ছাড়াই নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা
সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেন সড়ক নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো।
নিরাপদ সড়ক চাই
(নিসচা) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর
হোসেন জানান- যে কোন সময়ের চেয়ে এ বছর সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক তৎপর
ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে সেনা বাহিনীর তৎপরতায় বেপরোয়া গতিতে
ছুটে চলা চালকরাও ছিল সতর্ক। এছাড়া বখাটেদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি।
সোসাইটি
ফর দ্য প্রিভেনশন অব এক্সিডেন্টস (এসপিএ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক
কাজী আব্দুর রাজ্জাক (রাসেদ) জানান- নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে প্রশাসনের
পাশাপাশি অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এক যোগে কাজ করেছে। ঈদের পূর্বে এবং
পরে দুর্ঘটনা বিহীন কুমিল্লা অংশ কখনও ছিল না। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।