বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা
মু. আব্দুল হালিম বলেছেন, জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে জুডিশিয়াল কিলিং’র মাধ্যমে
হত্যা করেছে আওয়ামীলীগ। এগুলোর বিচারও এই বাংলাদেশের মাটিতে করা হবে। তারা
১২ বছর আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছিল, আমাদের প্রতিক কেড়ে নিয়েছিল, আমাদের
নিষিদ্ধ করেছিল, তারা মনে করেছিল আমাদের অফিস নাই, দল নাই, কে নির্বাচন
করবে ? বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বলে দিয়েছে, জামায়াতের নিবন্ধনও আছে
দাড়িপাল্লা প্রতিকও আছে।
যারা নিষিদ্ধ করেছিল তারা আজ কোথায় ? তারাই আজ
দেশে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ভারতে পালিয়ে গেছে, সাথে ৩০০ আসনের এমপিও পালিয়েছে।
এটি হয়েছে একমাত্র জামায়াতের ওপর জুলুম করার কারণে।
মঙ্গলবার (১০ জুন)
বিকাল ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত দেবিদ্বার উপজেলা জামায়াত ও
পৌর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর
হাসিনার জামায়াতের ওপর যে জুলুম নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়েছে তা আর কোন দলের
ওপর চালায়নি। তারা মনে করেছিল নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন
করে দিবে, পারেনি। বরং তারাই বাংলাদেশের মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
তারা ভোট চুরি করে জুলুম নির্যাতন করে এত বছর টিকেছিল। ২০২৪ সালে আল্লাহর
রহমত হয়েছে ছাত্রজনতার আন্দোলনে তাকে পালাতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
প্রায় ১৪ বছর ফাঁসির আসামী থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় নেতা এটিএম
আজহারুলকে বাঁচিয়েছেন। আহজার ভাইয়ের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে অতীতে
যেসব মিথ্যা স্বাক্ষীর মাধ্যমে সাজা দিয়ে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলাম একটি মজলুম সংগঠন এই দলের নেতারাও মাজলুম।
জামায়াত ইসলাম আগামী
নির্বাচনে অংশ নিবে। কুমিল্লা ৪ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে বিপুল ভোটের মাধ্যমে জামায়াতের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
উপজেলা
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি রুহুল আমিন খাঁনের পরিচালনায় ও পৌর জামায়াতের
সভাপতি ফেরদৌস আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার হিসেবে বক্তব্য রাখেন,
কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, গাজীপুর মহানগরী
জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, কুমিল্লা -৪ দেবিদ্বার
আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মু. সাইফুল ইসলাম শহীদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা
জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারী মুফতি মো. আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক লোকমান
হাকিম ভূঁইয়া।