সৌরভ মাহমুদ হারুন।।
কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন এর কোমাল্লা গ্রামের আরবের বাড়ির
মৃত্য হাফিজ উদ্দিনের ছেলে জহির ও স্বপনের ঘরে আগুন লেগে নগদ টাকা,
স্বর্নলংকার, আসবাবপত্র ও মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ঘটনাটি
ঘটেছে ১৯মে সোমবার দিবাগত রাত ৩ টায় প্রথমে স্বপনের ঘরে বিদ্যুৎ
শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র পাত ঘটে। এতে স্বপনবও জহিরুল
ইসলাম এর ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু তাহের জানান ১৯ মে সোমবার দিবাগত রাত ৩ টায়
কোমাল্লা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে স্বপনের বসত ঘরে প্রথমে বিদ্যুৎ
শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র পাত। আগুনে লেলিহান শিখা
মুহূর্তের মধ্যে চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্বপনের আপন ভাই জহিরুল ইসলামের
ঘরে ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আগুনের উপস্থিতি টের পেয়ে এক ঘন্টা চেষ্টা
চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম
গিয়ে উপস্থিত হয়। স্থানীয়রা ইতিপূর্বে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময়
স্বপনের বসত ঘর, নগদ টাকা, মালামাল এবং জহিরুল ইসলাম এর একটি ঘর আসবাবপত্র
অন্যান্য মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে স্বপনের ৮ লক্ষাধিক ও
জহিরুল ইসলাম এর ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
খবর পেয়ে
মঙ্গলবার সকালে ২০ মে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ক্ষতি গ্রস্থদের মাঝে নগদ ৫ হাজার করে নগদ ১০
হাজার টাকা, ৩০ কেজি করে ৬০ কেজি চাল, কম্বল বিতরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা তানভীর হোসেন ক্ষতি গ্রস্থদের আশ্বাস দিয়ে আসেন সরকারি যতটুকু
সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তা মোঃ যোবায়ের হাসান।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে পীরযাত্রাপুর
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু তাহের ঘটনা পরিদর্শন করেন এবং
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তিনি ক্ষতি গ্রস্থদের মাঝে নগদ
টাকা বিতরণ করেন।এসময়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা প্রবাসী শরাফত আলী
মাষ্টারের ছেলে রুহুল আমিন নগদ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। তিনি নিজ তহবিল
থেকে আরও সহায়তা করার আশ্বাস দেন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সুলতান আহমদ
মুন্সি, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, জামাল হোসেন, কামাল হোসেন মাষ্টার সহ বিভিন্ন
লোকজন উপস্থিত ছিলেন।