কুমিল্লা
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,
তোমাদের মেধার পাশাপাশি দুটি জিনিস অর্জন করতে হবে আর তা হলো, সততা ও সাহস।
এ দুটি জিনিস নিয়েই তোমাদেরকে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। এজন্য মেধার
পাশাপাশি সততা এবং সাহসের প্রয়োজন। তবে তোমরা দেশের সম্পদে পরিণত হতে
পারবে। যদি একজন মেধাবীর সততা ও সাহস না থাকে তাহলে সে দেশের সম্পদ নয় বোঝা
স্বরুপ।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে সিলভার
ডেভেলপারস কোম্পানী লি., দৈনিক কুমিল্লার কাগজ এবং মানবিক সংগঠন বিবেকের
উদ্যোগে আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এসব
কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যে
শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে আমি যদি আমি বলি, বর্তমানে অনেক জিপিএ ৫ অর্জন
করছে। এটা একদিকে ভালো। কারণ একটা সময় ছিল যখন পাবলিক পরীক্ষায় বোর্ডে ২০
জন স্ট্যান্ড করত। এই গ্রেডিং সিস্টেমটা বিশ^ব্যাপী খুবই প্রচলিত ছিল যে
একটা রেঞ্জের মধ্যে যারা রেজাল্ট করেছে তারা সবাই এক ধরণের যোগ্যতা অর্জন
করেছে। সে বিবেচনা অনেককে উৎসাহিত করা যায় অনুপ্রাণিত করা যায়। কারণ যিনি
৭৯ পেয়েছেন আর যিনি ৮০ পেয়েছেন তাদের মধ্যে মেধার দিক থেকে খুব বেশি একটা
প্রার্থক্য নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন যে সবাই
চেষ্টা করে উচ্চ শিক্ষিত হতে। কিন্তু আমরা একটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে চাই,
সেটা হলো শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি, তোমরা কোথায় যেতে চাও। যদি তোমার
লক্ষ্য তুমি একাডেমিশিয়ানস হবে তাহলে আমাকে পিএসডি ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।
আর যদি লক্ষ্য হয় একটি সরকারি চাকরি করবে তাহলে সে চাকরির জন্য যেটুকু
শিক্ষা প্রয়োজন সেটুকু নিলেই হবে পিএসটি ডিগ্রী নিতে হবে না। সরকারের
সম্পত্তি অপচয় করার দরকার নাই। কেউ যদি মনে করে উদ্যোগতা হবে তার জন্য
যেটুকু শিক্ষা প্রয়োজন সেটুকু শিক্ষা নিলেই হবে। কারণ একজন শিক্ষার্থীর
পিছনে রাষ্ট্রকে অনেক সম্পদ ব্যয় করতে হয়। আমরা চাই রাষ্ট্রের সম্পদ যেন
সঠিক ও সুষম ব্যবহার হয়। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের দেশে ১৮ কোটি মানুষ
রয়েছে এর ধারণ ক্ষমতা নেই বললেই চলে। বিদেশে যারা অভিবাসী রয়েছেন তার ১০
শতাংশ এই কুমিল্লার মানুষ। আমরা চাই যারা দেশের বাহিরে যাবেন তারা যেন
শুধুমাত্র শ্রমিক হিসেবে না যেয়ে একজন দক্ষ মানুষ হয়ে যান। এ বিষয়টির ওপর
আমরা খুব জোর দিতে চাই। আপনি দেশের বাহিরে কষ্ট করে যাচ্ছেন কাজ করার জন্য
আপনার টার্গেট থাকবে আপনি যে কাজের ওপর যাবেন সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে
যান। যেন আপনার পরিশ্রম ও সময় কাজে লাগে এবং আপনার পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি,
আপনার পরিবার ও দেশ লাভবান হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এই
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত হয়েছো তোমরা নি:সন্দেহে অনেক মেধাবী।
তোমাদের সামনে লম্বা পথ অপেক্ষা করছে, সে পথ তোমাদের পাড়ি দিতে হবে। আজকের
আয়োজন খুবই চমৎকার ছিল কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় একটু বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এরপরও
শিক্ষার্থীরা সাহস করে অনুষ্ঠানে এখন পর্যন্ত উপস্থিত আছে। আমি তোমাদেরকে
সাধুবাদ জানাচ্ছি। যারা পরিশ্রম ও সাধনা করে সাফল্য অর্জন করেছো এই
অনুষ্ঠান তোমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেবে।