প্রকাশ: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ১১:১৬ এএম |
গাজায় খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশে অবরোধ কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর রবিবার (১৮ মে) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গাজায় সীমিত পরিমাণ খাদ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসকে পরাস্ত করতে যুদ্ধের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করতে এবং সেনাবাহিনীর পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গাজা উপত্যকায় খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
মার্চের শুরু থেকে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সহায়তা প্রবেশে অবরোধ জারি করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের অভিযোগ, বেসামরিকদের জন্য পাঠানো রসদ ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে হামাস। তাই দলটিকে চাপ প্রয়োগ করে দুর্বল করতে এবং জিম্মিমুক্তি নিশ্চিতে এই অবরোধ জারি করা হয়।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচারের মুখপাত্র এরি কানেকো জানান, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের সঙ্গে সীমিত সহায়তা পাঠানো নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে স্থল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এখনও আলোচনার মাধ্যমে লজিস্টিক বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
এই ঘোষণার কিছু আগে জানা যায়, কাতারের দোহায় আয়োজিত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার নতুন দফার পরোক্ষ বৈঠকে কোনও অগ্রগতি হয়নি। বৈঠকে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি বিনিময় এবং গাজা থেকে হামাসকে নির্বাসনে পাঠিয়ে যুদ্ধ শেষ করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। তবে বরাবরের মতোই হামাস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামাস হামলা চালানোর প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয় গাজা যুদ্ধ। হামাসকে নির্মূল করতে শুরু হয় ইসরায়েলি অভিযান। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক ব্যক্তি।