জয়
দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। তাই
সিরিজের শেষ ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ
নির্ধারণী এই ম্যাচে ৩৪ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধানে শিরোপা নিশ্চিত করেছে
বাংলাদেশ।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে
নেমে এদিন বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে ২২৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ
আফ্রিকা ১৯১ রানের বেশি করতে পারেনি। ফলে ৩৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে
স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের আটকে দেন টাইগার স্পিনাররা।
মূলত রাকিবুলের ৪ উইকেট, রাব্বি-ওয়াসির জোড়া উইকেটে ভেঙে যায় আফ্রিকার
ব্যাটিং লাইনআপ। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তায়ান ভ্যান বোরেন।
এর
আগে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন ফেরেন
২৬ রানে, তার আগে চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান ফেরেন কোনো রান না করেই। এরপর
দ্রুত বিদায় নেন রায়ান রাফসান ১৯ রান করে, রান করতে ব্যর্থ আরিফুল ইসলামও।
পরে আকবর আলি দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে দলকে তিনি বেশি পথ দেখাতে
পারেননি, ব্যক্তিগত ৩৮ রানে থাকা অবস্থায় পথ ধরেন প্যাভিলিয়নের।
প্রিতম
কুমার এদিনও রান করতে পারেননি, শেখ পারভেজ জীবনও হন ব্যর্থ। ১১৮ রানে ৮
হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ দল তখন দলের হাল ধরেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি
এবং রাকিবুল হাসান। দুইজন মিলেই খেলতে থাকেন বেশ সাবলীল ইনিংস। একসময় দুই
জনের পার্টনারশিপও গড়ে তোলেন অর্ধশতকের।
পরে নিজেরাই এগিয়ে যাচ্ছিলেন
ব্যক্তিগত অর্ধ-শতকের দিকেও। তবে ব্যক্তিগত ৪০ বলে ৪২ রান করে ফিরে যান
রাকিবুল, ভেঙে যায় ৮৪ রানের জুটি। তবে অর্ধ-শতক তুলে নেন রাব্বি, এরপর ফিরে
যান ৫৮ রানে। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২৫ রানে।