কাজের মূল্যায়ন করে আগামী বছরের সম্মেলনে সিভিল সার্জনদের পুরস্কৃত করার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সম্মেলনটিকে শুধুমাত্র সম্মেলন হিসেবে না দেখার অনুরোধ জানিয়ে কর্মশালা চলাকালে স্বাস্থ্য খাতের কঠিনতম পাঁচটি সমস্যা চিহ্নিত করতে সিভিল সার্জনদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নুরজাহান বেগম বলেন, পরের বছর যখন সিভিল সার্জন সম্মেলন হবে তখন সমস্যার সমাধানে কাজের মূল্যায়ন হবে। কোন সিভিল সার্জন কোন সমস্যার কীভাবে সমাধান করেছেন। সমস্যা সমাধানের যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে এতে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের সম্মেলনে পুরস্কৃত করা হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যে আমাদের সাফল্য একেবারে কম নয়। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভিসহ নানা কিছুতে সাফল্য রয়েছে । এ সাফল্যের মূল ভাগীদার সিভিল সার্জনরা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরের মূল হাতিয়ার ও মূল কাজের কাণ্ডারি সিভিল সার্জনরা। সিভিল সার্জনদের ওপর অনেক দায়িত্ব। এ দায়িত্বগুলো সিভিল সার্জনদের ওপরে একের পর এক চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বগুলো দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব অস্ত্র (জনবল, যন্ত্রপাতি ও ওষুধ ইত্যাদি) দেওয়ার কথা ছিল সেগুলো আমরা দিতে পারিনি। আমাদের সমস্যা অনেক, সমস্যা অনুপাতে জনবল ও যন্ত্রপাতি দিতে পারিনি। যন্ত্রপাতির পাশাপাশি আছে ওষুধের ঘাটতি। যে পরিমাণ ওষুধ সিভিল সার্জনদের কাছে পৌঁছানোর কথা তা পৌঁছানো হচ্ছে না।
প্রমোশনের ক্ষেত্রেও সিভিল সার্জনরা বঞ্চিত হচ্ছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে দেখা গেছে একজন চিকিৎসক যে পদে প্রবেশ করেছেন সে পদ থেকে অনেকে অবসরে যাচ্ছেন। এ কারণে সরকার ৭ হাজার সুপার নিউমেরিক পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি বঞ্চিত চিকিৎসকদের পদোন্নতির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
নতুন করে তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।