কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কুমিল্লা। এসময় পরিমানে ভোক্তাদের কম দেওয়ার অভিযোগে নগরীর দুটি পেট্রোল পাম্পে সিলগালা করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল চারটা পযন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ জানান, মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লা নগরী ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নগরীর চকবাজার কাশারীপট্রি এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযানে মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজের দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২০০ মিলি তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই পাম্পের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২২০ মিলি তেল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এই গুরুতর অপরাধে পাম্পের চারটি ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, নগরীর গোধিরপুকুরপাড় এলাকার মেসার্স এম এ হাকিম এন্ড ব্রাদার্সের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও তেলের মাপে কারচুপির চিত্র দেখা যায়। পাম্পটির এই দুটি ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রাহকদের যথাক্রমে ৩৪০ মিলি ও ৩৯০ মিলি তেল কম দেওয়া হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই দুটি ইউনিটও সিলগালা করে দিয়েছে বিএসটিআই।
অপর অভিযানে চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকার তিনটি পাম্পে জ্বালানি তেল পরিমাপে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। মেসার্স আম্বর আলী অটো ফিলিং স্টেশন, মিয়া বাজার ফিলিং স্টেশন এবং মেসার্স হাবিব ফিলিং স্টেশনের ডিসপেন্সিং ইউনিটগুলোতে তেল পরিমাপ সঠিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।
বিএসটিআই কুমিল্লার পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মোঃ লুৎফর রহমান এবং মোঃ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ জানান, কুমিল্লা নগরী ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পাঁচটি পেট্রোল পাম্পে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুটি পাম্পকে ওজনে কারচুপির অভিযোগে সিলগালা করা হয়। জনস্বার্থে বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।