ইংলিশ
প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পারফরম্যান্স এক কথায় হতশ্রী।
ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালে অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে রেড ডেভিলদের প্রথম
৩০ মিনিটের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল আরেকটা হতাশার রাত উপহার দিতে যাচ্ছে
তারা। তবে বিরতির আগের ১৫ মিনিটে দেখা মিলল এক অন্য রকম ইউনাইটেডের। এই
মৌসুমে স্পেনের সেরা রক্ষণ হিসেবে খ্যাত বিলবাওয়ের জালে এই স্বল্প সময়ের
মধ্যে তারা ৩ বার বল পৌঁছায়।
প্রথমার্ধেই সেই দারুণ পারফরম্যান্সে
ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে ধরেই নেওয়া যায় ফাইনালে এক
পা দিয়ে রেখেছে রুবেন এমোরিমের শিষ্যরা।
অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের ম্যাঠ
সান মামেসেই এই মৌসুমের ইউরোপা লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এই মাঠেই
বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাতে ইউনাইটেড প্রথম দিকে রীতিমতো হিমশিম
খাচ্ছিল। তবে হঠাৎ তারা হয়ে উঠল নির্ভুল আর বিলবাওকে করে দিল এলোমেলো।
প্রথম
২০ মিনিটে ইউনাইটেড চাপে থাকাকালীন, অ্যাথলেটিক ক্লাব সুযোগের পর সুযোগ
তৈরি করছিল। উগার্তে মিডফিল্ডে বল হারাতা বেরেংগুয়ের একটি শট ঠেকান ওনানা।
এরপর ইনিয়াকি উইলিয়ামস একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এবং তার ভাই নিকো উইলিয়ামস
আরও একটি সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন।
দিয়াগো দালোটের চোটে
ইউনাইটেড বস আমোরিম লিন্ডেলোফকে খেলান প্রথম একাদশে। অন্যদিকে ডি লিটের
ফিটনেস নিয়েও অনিশ্চয়তা ছিল। এই দুজন প্রথম দিকে প্রতিপক্ষের বেশ কিছু
আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল বিলবাওয়ের গোল দেওয়া শুধু সময়ের
ব্যাপার। কিন্তু ইউনাইটেড যেমনটি লিঁওর বিপক্ষে কোয়ার্টারফাইনালে করেছিল,
থিক তেমনি আবার করল।
ম্যাচের ৩তম মিনিটে প্রথম গোল আসে ক্যাসেমিরোর মাথা
থেকে। ম্যাগুইরের ক্রস থেকে গোল করেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। হইলুন্ডকে
পেনাল্টি বক্সে টান দেওয়ায় ড্যানিয়েল ভিভিয়ান লাল কার্ড পান এবং ব্রুনো
ফার্নান্দেস পেনাল্টি থেকে গোল করেন। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে ক্যাসেমিরোর
দুর্দান্ত ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে আবার গোল করেন ফার্নান্দেস।
লা লিগায়
অ্যাথলেতিক ক্লাব এই মৌসুমে ঘরের মাঠে মাত্র ১০ গোল হজম করেছে। তাদেরই
ইউনাইটেড দিল ৩ গোল, তাও আবার মাত্র ১৫ মিনিটে। ইউনাইটেড প্রথমবার ৬০ বছরে
ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় কোনও অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধে তিনটি গোল করল।