চাকুরী
জাতীয়করণের ১ দফা দাবী আদায়ে আন্দোলন করছে কুমিল্লা জেলা সাধারণ আনসার
সদস্যরা। এ সময় তারা জানান, গত কিছুৃ দিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছেন। দাবী
আদায় না হলে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন।
আজ দুপুর ২টায় কুমিল্লা জেলা
কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে অংশ নেয় জেলার সকল সাধারণ আনসার
সদস্যবৃন্দ। এ সময় আনসার সদস্যরা আর নয় চুক্তি এবার চাই মুক্তি, এক দফা এক
দাবী চাকুরী জাতীয়করণ, তুমি কে আমি কে আনসার আনসার, আর নয় চুক্তি আমরা চাই
মুক্তি ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে থাকে। আনসারদের পক্ষথেকে সাধারণ আনসার
সদস্যদের সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, কুমিল্লা জেলায় কর্মরত সকল সাধারণ আনসার
সদস্যগণ ঢাকাতে অবস্থিত আমাদের প্রধান সমন্বয়কদের সাথে একমত পোষণ করে এক
দফা এক দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলার আনসারগণ সম্মিলিতভাবে কর্মসুচী
পালন করছি। কিন্তু আমরা পর্যবেক্ষণ করছি উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা কুমিল্লা
থেকে যে চিঠি প্রেরণ করেছেন তা কেবলমাত্র কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের আনসার
সদস্যদের জাতীয়করণ প্রসঙ্গে। তাই কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়সহ জেলার সকল আনসার
সদস্যদের পক্ষথেকে চিঠি প্রেরণ করার অনুরোধ করছি। এসময় অন্যান্য আনসার
সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো: বুলবুল ইসলাম, আ: জলিল, মো: কবির, মো:
মতিনসহ সকল আনসার সদস্যগণ। এ সময় আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে জেলা আনসার ও
গ্রাম প্রতিরক্ষা কার্যালয়ে গিয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান এর নিকট
দাবীসহ নানা সমস্যা উল্লেখ করে আবেদন জমা দেন।
এ সময় জেলা কমান্ড্যান্ট
মো: রাশেদুজ্জামান (বিভিএমএস) আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের
দাবীর সাথে আমি একমত। আপনাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য জেলা কার্যালয় থেকে
যা করণীয় আমরা সবকিছু করবো। আপনাদের দাবী আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট
আমরা যথাযথ নিয়মে পাঠাবো এবং যত দ্রুত সম্ভব পৌছে দেব। দেশে সংকটময়
মুহূর্তে আপনারা দেশের স্বার্থে যে দায়িত্ব পালন করেছেন তা অতুলনীয়। তবে
আপনাদের এই অর্জন যেন কোন কারণে ম্লান হয়ে না যায়। তবে আন্দোলন করতে গিয়ে
কেউ বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। শান্তিপূর্ন আন্দোলনে আমরা আপনাদের
পাশে আছি। এই মুহূর্তে দেশে বড় ধরনের সংকট চলছে আর তা হলো বন্যা। আমরা এই
মুহূর্তে বন্যার্তদের পাশে দাড়ানো দরকার। আমরা সকলে প্রত্যেকের সামর্থ্য
অনুযায়ী বন্যার্তদের সাহায্য করবো।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের
সমন্বয়ক মো: মাসুদ রানান জানান, সারাদেশে প্রায় ৫৬হাজার সাধারন আনসার
সদস্য রয়েছে। প্রত্যেকের নিকট থেকে ১দিনের বেতনের সমপরিমান টাকা প্রায় দুই
কোটি নব্বই লাখ আশি হাজার টাকা বন্যার্তদের সহায়তায় খরচ করা হবে।