বিসিএসের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। নজরদারিতে আছেন অনেকেই।
প্রতি বছর লাখ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। এর মধ্যে বিসিএস অন্যতম। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে বিসিএসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রীতিমতো অবাক করার মতো ঘটনা। গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত ১২ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ফাঁস হচ্ছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে জড়িত আলোচিত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সংঘবদ্ধ চক্রটি বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতো বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজধানীর পল্টন থানায় অর্ধশত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন আইনে দায়ের করা মামলায় আসামির সংখ্যা অর্ধশত। সংস্থাটি বলছে, অভিযান অব্যাহত আছে। নজরদারিতে আছেন আরও অনেকেই।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিসিএসের মতো নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কারণে আস্থার সংকটে পড়বে পিএসসির মতো সাংবিধানিক সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,প্রশ্নফাঁসের ঘটনাটি যেভাবে তথ্য-উপাত্তসহ উঠে এসেছে, তাতে এটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। বিবৃতি দিয়েও এটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। অভিযুক্তদের ওপরের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে জোরাল ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কারণ তারা জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।