কুবি
সংবাদদাতা: বিশ্ববিদ্যালয় অনতিবিলম্বে চালুর দাবিতে কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
ব্যানারে প্রতীকী ক্লাস করেছে। অপরদিকে উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের
পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (১২ মে) বেলা ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়।
রবিবার
(১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে
শিক্ষার্থীদের প্রতীকী ক্লাস এবং ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের
সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। করা হয়।
প্রতীকী ক্লাসে
ক্যাম্পাসে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী
আহমেদ আবির রায়হান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী
আরমানুল হক। সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান এবং দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে
ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রতীকী
ক্লাসে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবির রায়হান বলেন, "আমাদের
বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি আমরা কয়েকভাবে নৈতিক অবক্ষয় দেখতে পাই। প্রথমটি
হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অধিকার ছিন্ন করা। এই নৈতিক অবক্ষয়টা আমাদের গুরুজনদের
থেকেই হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু আজকে এই স্বাভাবিক নিয়মটা ভঙ্গ হওয়ার পিছনে আমরা শিক্ষক ও
শিক্ষার্থী দুই পক্ষই দায়ী। কারণ আমরা কখনও কোনো আওয়াজ বা প্রশ্ন তুলিনি।''
তথ্য
ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, " আমাদের দেখা
যাচ্ছে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পাশ করতেই পঁচিশ, ছাব্বিশ বছর পার হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদের তুলনায় আমরা ক্যারিয়ারে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। এর দায়ভারটা কে নিবে?
উপাচার্য ও শিক্ষকদের ব্লেইম গেমে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। তাদের মধ্যে
দ্বন্দ্ব ফলাফল আমাদের ক্লাস বন্ধ। এখানে আমাদের লাভ কী?"
অবস্থান
কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন
বলেন, 'শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের এ
কর্মসূচি। উপাচার্য যতদিন পর্যন্ত না স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন ততদিন
পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে। এমনকি আমরা সাধারণ সভা ডেকে এর থেকে আরও
কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারি।'
উল্লেখ্য, শিক্ষক সমিতি-উপাচার্য
দ্বন্দ্বের জেরে ৩০ এপ্রিল ৯৩ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের
জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।