ইসমাইল
নয়ন।। কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় কাউসার (২৬) নামে এক
যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর)
রাতে উপজেলা শশীদল ইউনিয়নের দক্ষিণ তেতাভূমি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। কাউসার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দক্ষিণ তেতাভূমি নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার
ছেলে।
মৃত কাউসারের মা রাজিয়া বেগম ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৪
নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার সময় উপজেলার দক্ষিণ তেতাভূমি এলাকায় কাউসার এর
বাড়ির পাশে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী মোটরসাইকেল রেখে মাদক সেবন করে। এ সময়
কাউসার তাদেরকে বাধা দেয় এবং মোটরসাইকেলে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। মোটরসাইকেলে
আরোহীগণ মাদক সেবন শেষে চলে গেলে এলাকার স্থানীয় দোকানদার কাজল মিয়ার ছেলে
ফেরদৌস, কাউসারের কাছে মাদক সেবীদের সাথে খারাপ আচরণের কারণ জানতে চায়। এ
নিয়ে কাউসার ও ফেরদৌস বাকবিতণ্ডায় জরায়। এক পর্যায়ে ফেরদৌস তাকে চড় থাপ্পড়
মারে। কাউসার উত্তেজিত হয়ে বাড়ি থেকে একটি লাঠি আনলে ফেরদৌস ও তার সাথে
থাকা একই এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বিল্লাল (৪০), মৃত সৈয়দ আলীর
ছেলে ইউনুস মিয়া (৫০) তার ছেলে জুয়েল মিয়া (২২) এবং মৃত দুলা মিয়ার ছেলে
বাবুল (৪০) তাকে এলোপাথাড়ি মারধর ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার মা
রাজিয়া বেগম ছেলেকে বাচাতে এগিয়ে এলে তার মাকেও শারীরিক আঘাত করলে তার মা
ঘরে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তার ছেলে (কাউসার) ঘরে ফিরে না আসলে রাজিয়া
বেগম রাত ১০ টায় কাউসারের শয়ন কক্ষে গিয়ে দেখে কাউসার ফাঁস লাগানো অবস্থায়
তীরের সাথে ঝুলে আছে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে
ব্রাহ্মণপাড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে কাউসারের লাশ
উদ্ধার করে। ব্রাহ্মণপাড়া থানার এস আই মো: আবদুস সবুর লাশের সুরতহাল
রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করে।
এ ব্যাপারে কাউসারের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, আমার একমাত্র ভাইকে
তারা মেরে ঘরের ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছেন। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক
বিচার চাই।আমরা অসহায় হওয়ায় আমার ভাইকে তারা মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ
ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম
জানান আমরা খবর পেয়ে লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি এবং লাশের সুরতহাল
রিপোর্ট তৈরি করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। মৃত
কাওসারের হাতে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম ছিল। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সঠিকভাবে বলা যাবে।
