
আফগানিস্তানের
দেওয়া ২৭৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় ৪৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ
অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়েন কালাম
সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন। দুজনই ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। কিন্তু
তাদের বিদায়ের পরই অবিশ্বাস্যভাবে ধসে পড়ে বাংলাদেশ যুব দলের ব্যাটিং
লাইনআপ। শেষ ৩৫ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে তারা ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে।
আজ
(বুধবার) রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে
মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে
সফরকারী আফগানরা ৭ উইকেটে ২৭৫ রান তোলে। তাদের পক্ষে অধিনায়ক মাহবুব খান
অপরাজিত ৬৮ রান করেন। এ ছাড়া উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই ৩১ এবং ওসমান সাদাত করেন
২৬ রান। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম
তামিম ও আল ফাহাদ।
জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশ রানের খাতা খোলার আগেই
হারায় ওপেনার রিফাত বেগের উইকেট। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ২৫ এবং অধিনায়ক
তামিম আউট হয়েছেন ৯ রান করে। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যুব
টাইগাররা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন সেই বিপদ
সামলেছেন। দলীয় খাতায় যোগ করেন ৯৩ রান। ৫০ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রানে
রিজানের বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। সেখান থেকেই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধস শুরু হয়।
দলের খাতায় আর ৩৫ রান যোগ হতেই হুড়মুড়িয়ে টাইগারদের পুরো লাইনআপ ভেঙে পড়ে।
কালাম
সিদ্দিকী একপ্রান্ত আগলে রাখলেও, অন্য প্রান্তে চলতে থাকে আসা-যাওয়ার
মিছিল। ৭৯ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৭১ রান করেছেন কালাম। কালাম-রিজান ও
জাওয়াদ ছাড়াই আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। ফলে ৩৭.২
ওভারেই বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায়। মাঝে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন আল
ফাহাদ। সফরকারী আফগানদের পক্ষে যায়তুল্লাহ শাহীন ৪ ও ওয়াহিদউল্লাহ জাদরান ৩
উইকেট শিকার করেন।
১০২ রানের এই জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল
আফগানিস্তান। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে
ভেস্তে গিয়েছিল। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে আগামী শুক্রবার দুই দল মুখোমুখি
হবে।
