
কিছুদিন
আগে বাবা হয়েছেন হাভিয়ের কাবরেরা। আছেন তাই ছুটিতে। কিন্তু তার দলের
ব্যস্ততা তো থেমে নেই। শুরু হয়ে গেছে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি ক্যাম্প।
কোচের অনুপস্থিতিতে দলের অনুশীলন কেমন চলছে-জানতে চাইলে সহকারী কোচ হাসান
আল মামুন বললেন, কাবরেরার দিয়ে যাওয়া ছকেই সব কাজ হচ্ছে। তাছাড়া স্পেন থেকে
তিনিও খোঁজ রাখছেন ছেলেদের।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে আগামী
১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। গত মার্চে শিলংয়ে দুই দলের
প্রথম পর্বের ম্যাচটি হয়েছিল গোলশুন্য ড্র। এবার নিজেদের আঙিনায় আরও বেশি
প্রাপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে উন্মুখ দল।
“অনেক আগে থেকেই আমাদের প্রোগ্রাম
সেট করা আছে। আমাদের পরিকল্পনা করা আছে যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের ছকটা কী
হবে। এটা অনেক আগে থেকে তৈরি। উনি তিন বা চার তারিখে হয়ত চলে আসবেন। উনি
বাবা হয়েছেন। তাই উনি ওনার মিসেসের পাশে, পরিবারের পাশে আছেন।”
“কোচিং
স্টাফ আমরা সবাই জানি যে, প্রত্যেকদিন, প্রতি সপ্তাহে আমাদের প্রোগ্রামটা
কী। এমনকি সে স্পেন থেকে কিন্তু আমাদের এই প্রোগ্রাম মনিটরিং করছে। আজকে
আমাদের পুরোটা সেশন রেকর্ডিং হবে এবং এই সেশন কাবরেরা কাছে চলে যাবে। সে
ফিডব্যাক দিবে। পরে কোনো ভুল থাকলে এটা আমরা ঠিক করে নেব। তবে ওভারঅল
প্রোগ্রামটা ওরই দেওয়া।”
বাছাইয়ে চার ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত জয়হীন
বাংলাদেশ। বাছাই পেরুনোর স্বপ্ন আগেই গেছে গুঁড়িয়ে। ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে দল
২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তলানীতে। ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচ
দুটিই বাকি। হামজা চৌধুরী, শোমিত সোম, জায়ান আহমেদের মতো প্রবাসীদের নিয়ে
গড়া দলের এমন অবস্থান মেনে নিতে পারছেন না হাসান আল মামুনও।
“আসলে এই দল
এটা ডিজার্ভ করে না। এই দলের যে ওজন এবং গত তিন বছরে হাভিয়েরের অধীনে যে
দল হয়েছে, এই দলটা একটা পরিবর্তনের জায়গায় আছে, সেটা হচ্ছে আমাদের লেভেলকে
পরিবর্তন। তাই এই টিম এটা ডিজার্ভ করে না। অবশ্যই আমরা সামনে দুটা ম্যাচে
পয়েন্টের জন্য নামব। জয়ের জন্য নামব, কোনো সন্দেহ নেই।”
ভারতের বিপক্ষের
ম্যাচটি ঘরের মাঠে বলে হাসান আল মামুন আরও বেশি আশাবাদী। এই আশা জানানোর
ফাঁকেই ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে অন্তিম সময়ের গোলে ৪-৩ ব্যবধানে হারের
সেই হতাশা কথাও বললেন তিনি।
“আসলে পরিসংখ্যান বলে যে, হোম ম্যাচগুলো
আমরা ভালো খেলি, অ্যাওয়েতে খারাপ করি। বাংলাদেশের এটা অনেক পুরোনো সমস্যা।
আপনারা দেখেছেন, হোমে আসলে একটা বড় সুযোগ ছিল হংকং এর সঙ্গে জেতার। ফুটবল
দিনশেষে অনেকটা এরকমই হয়।”
