
সাম্প্রতিক
সময়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকবারই বড় ছেলে রোনালদো জুনিয়রের সঙ্গে
খেলার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেই
আশা পূরণের পথেই আছে ১৫ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো ডস সান্তোস। ইতোমধ্যে
পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৬ দলেও তার অভিষেক হয়েছে। যদিও ম্যাচটিতে তাকে বদলি
নামানো হয় ৯০ মিনিটে।
বাবার পথেই ফুটবলে আসার যাত্রাটা আগেই শুরু হয়েছিল
রোনালদো জুনিয়রের। কিশোর বয়স থেকে প্রতিভাও দেখাতে শুরু করেছে। এর আগে
রোনালদো ছেলের সঙ্গে খেলার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি তার সঙ্গে খেলতে
পছন্দ করব, তবে এটি এমন কিছু নয় যে, যা পূরণের স্বপ্নে আমি রাত জাগব।
স্বপ্ন পূরণের বিষয়টি আমার চেয়ে তার ওপর বেশি নির্ভর করছে। সময় চলমান এবং
একদিন আমাকে থামতেই হবে।’
গতকাল (বৃহস্পতিবার) তুরস্কের বিপক্ষে
আনাতালিয়ায় রোনালদো জুনিয়র অ-১৬ দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামে। তার
মাঠে নামার আগেই ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ফেলে পর্তুগাল। গোল দুটি করেন
স্যামুয়েল তাভারেস ও রাফায়েল ক্যাব্রাল। বাবার ক্লাব আল নাসরের যুব
একাডেমির হয়ে ফরোয়ার্ডের ভূমিকায় খেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র।
অনূর্ধ্ব-১৬
দলের টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপে এটাই ছিল পর্তুগালের প্রথম ম্যাচ। এরপর
শনিবার তারা ওয়েলস এবং শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। এর আগে চলতি
বছরের শুরুতে পর্তুগাল অ-১৫ দলের হয়ে খেলতে নেমে গোল করেছিল রোনালদো
জুনিয়র। অন্যদিকে, তার বাবা সম্প্রতি আল নাসরের হয়ে ৯৫০তম গোল পেয়ে গেছেন।
ছুটছেন স্বপ্নের ফিগার ১০০০–এর দিকে।
এক সময় ইউরোপ মাতানো রোনালদো
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাস
ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ২০২৩ সালের শুরুতে যোগ দেন সৌদি প্রো লিগের
দল আল নাসরে। মাঝে জাতীয় দলে গেমটাইম না পেলে নতুন কোচ রবার্তো
মার্টিনেজের অধীনে ফের সুযোগ পেতে থাকেন সিআরসেভেন। তার প্রতিদানও দিয়েছেন
তিনি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি ২২৫ ম্যাচে ১৪৩ গোল করেছেন। যা জাতীয়
দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ।
