ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শশীদল দক্ষিণপাড়া গ্রামে গত (২৬ জুন) বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক শিক্ষকসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
আহত মৃত্যু আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে মো: মামুনুর রশিদ বলেন, আমি  শশীদল ফুলকুঁড়ি চাইল্ড একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্বরত আছি। বিবাদীগণ আমার একই গ্রামের বাসিন্দা হয়। তাহারা খারাপ, উশৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। শশীদল ফুলকুঁড়ি চাইল্ড একাডেমীর দক্ষিণ পাশে এবং কবরস্থানের উত্তর পাশে দেয়াল ঘেষে চলাচলের একটি রাস্তা রয়েছে। উক্ত রাস্তা দিয়া গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। উক্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও পূর্ব হইতে অভিযোগে বর্ণিত সকল বিবাদীগণ শশীদল ফুলকুঁড়ি চাইল্ড একাডেমীর মাঠের উপর দিয়া জোরপূর্বকভাবে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। আমি ও স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ বাঁধা প্রদান করি। ঘটনার দিন মধ্যরাতে তারা সকলে একত্রিত হয়ে আমাদের স্কুল মাঠের মধ্য দিয়ে রাস্তা করতে চাইলে আমি আমার কুমিল্লা বাসা থেকে রাতেই এসে বাধা প্রধান করি। তখন সকল বিবাদীগণ আমি ও আমার সাথে থাকা আলি আহমেদের ছেলে ফরহাদ,সুরুজ মিয়ার ছেলে মো: মাসুদ ও মৃত্যু ফজলুর রহমানের ছেলে ইমনকে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী ও থানাপুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। বর্তমানে ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছি। হামলাকারীরা হলেন একই এলাকার মোঃ নাজমুল হাসান (২৪), পিতা-মোঃ কবির হোসেন, মোঃ আরিফুর রহমান হৃদয়  (২২), পিতা-মোঃ আব্দুল আলীম,  মোঃ নয়ন মিয়া (১৯), পিতা-মৃত রফিকুল ইসলাম, মোঃ এনামুল এক (৩০), পিতা-মোঃ আলী আশরাফ,  মোঃ দুলাল মিয়া (৪৫), পিতা-মোঃ হোসেন মিয়া,  নোঃ লিয়াম (১৯), পিতা-মোঃ মনির হোসেন, মোঃ ফরিদ আহাম্মেদ (৫০), পিতা-মৃত আনু মিয়া,  মোঃ জাকির হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত আনু মিয়া, মোঃ আবু তাহের সর্দার (৫৮), পিতা-মৃত স্বাক্ত মিয়া সর্দার, মোঃ সফিকুল ইসলাম (৫০), পিতা-মৃত কেরামত আলী, মোঃ মোস্তফা (৪৫), পিতা-মৃত আবুল হাসেম,  মোঃ হাসান (৪৫), পিতা-মৃত সৈয়দ আলী,  মোঃ দুলাল হোসেন (৪৩), পিতা-মৃত ইব্রাহিম, মোঃ হোরণ মিয়া (৪০), পিতা-মোঃ আব্দুর রহিম,  মোঃ শাহআলম (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল মালেক, . মোঃ রুমেল (৩৫), পিতা-মৃত শহিদ মিয়া'সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন। এ বিষয়ে আহত মামুনুর রশিদ মাস্টার আরো বলেন আমি ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ১৬ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।