আষাঢ়ের মাঝামাঝি এসে বর্ষা কদিন বিরতি নিলেও সব বিভাগে আবার কম-বেশি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ
এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, শনিবার সাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
সুতরাং বন্দরে যে তিন নম্বর সংকেত দেওয়া ছিল, তা বহাল রাখা হয়েছে।
শুক্রবার
দুপুরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন প্রধানত উপকূলীয়
এলাকাগুলোতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রামে এসব
অঞ্চলে। তার সাথে সিলেটে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি। যেহেতু বর্ষাকাল,
অন্যান্য অঞ্চলেও কম হলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”
গত বুধবার
বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হলে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা, কক্সবাজার
সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নাজমুল
বলেন, “যে লঘুচাপ ছিল, সেটি মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কিন্তু, আমরা
ধারণা করছি আগামীকাল (শনিবার) আবার একটা লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেজন্য
সংকেতটা আজকে সকালে প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও আবার যেহেতু আগামীকালই আবার
দিতে হতে পারে, তাই প্রত্যাহার করা হয়নি।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার
সকালের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন
এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায়
অবস্থান করছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের মধ্য প্রদেশ,
লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে
আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত
বিস্তৃত।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এর
প্রভাবে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম
ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ
বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা
থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সাধারণত
২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২
মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে
মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮
মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয় অতিভারি বৃষ্টিপাত।
গেল ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে; ৪৮ মিলিমিটার।
এছাড়া, পটুয়াখালীতে ৩৪ মিলিমিটার, আরিচায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল আরিচায়; ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে; ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।