নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় বোগদাদ পরিবহনের বাস ও কাউন্টারে সন্ত্রাসী হামলা ও
ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ২২ জুন ( রবিবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ
সময় কাউন্টারের বড় বড় কাঁচের গ্লাস, ৫টি বাস ভাংচুর করে ও ফয়সাল নামের এক
শ্রমিককে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ ছাড়াও তাদের হামলায় আরো কয়েকজন
শ্রমিক আহত হয়েছেন।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক
ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শ্রমিকরা জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত ২২ জুন তাদের
নামে একটি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করে। এরই প্রক্ষিতে
আইদি পরিবহনের লোকজন এই হামলা করেছে বলে দাবী সাধারণ মালিকবৃন্দ ও
শ্রমিকদের।
বোগদাদ কাউন্টারের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, রাত সাড়ে
১০টার দিকে সাদা মাইক্রোবাসে করে মুখে কাপড় বেধে এবং হেলমেট পরে এসে হামলা
করেছেতারা। এসময় বোগদাদ পরিবহনের আলমারি ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে
পুড়িয়ে দেয়, ক্যাশে থাকা নগদপ্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়ে যায়। নাইটগার্ডকে
ছুরি দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ককটেল ফুটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে একজন
শ্রমিককে ছুরিকাঘাত এবং কয়েকজনকে হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে
দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। স্থানীয়রা মারাত্মকআহত শ্রমিককে কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য
যে, হাইকোর্টের আদেশে গত ২৭ মার্চ কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যৌথবাহিনীর
উপস্থিতিতে বিকাল ৪টায় আইদি পরিবহনের কুমিল্লা জাঙ্গালিয়া কাউন্টার সিলগালা
করে। ঐদিন সন্ধ্যা ৭টায় আইদি পরিবহন অফিসে হামলা হয়েছে মর্মে আইদি পরিবহন
কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শ্রমিকদের কয়েকজনের নামে
একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঐ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ২২ জুন
মানববন্ধন করে কুমিল্লা জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং
সাধারণ শ্রমিকবৃন্দ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আইদি পরিবহনের পারভেজ ও অন্যান্যরা এই
হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করে সাধারণ মালিক শ্রমিকরা।
উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন টার্মিনাল ব্যবহারকারী মালিক ও সাধারণ শ্রমিকবৃন্দ।
প্রকাশ
থাকে যে, মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আইদি পরিবন কুমিল্লার
পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত বেআইনিভাবে চলাচল করছে। এর জের
ধরেই এসব ঘটনা ঘটে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি
আকর্ষণ করা হয়েছে।