বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২২ বিলিয়ন ডলারের গণ্ডি পেরিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৪ জুন) দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রবণতা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ আগমন এই রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর পর্যায়ক্রমে তা বাড়তে থাকে এবং ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল রিজার্ভ পৌঁছায় ২২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে। তবে গত ৬ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধের ফলে তা হঠাৎ কমে ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০২২ সালের আগস্টে, যার পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। তবে পরবর্তীতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রফতানি আয় কমে যাওয়া, বৈধ ও অবৈধ পথে অর্থপাচার বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে স্থবিরতা ইত্যাদি কারণে রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই রিজার্ভ বৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও তা ধরে রাখতে হলে রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ টেকসইভাবে বজায় রাখা, বৈদেশিক সহায়তার কার্যকর ব্যবহার এবং অর্থপাচার প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।