কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম, বিএনপি নেতা মীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোঃ নোমান, সালাহ উদ্দিন, মোঃ মিজান, সালেহ আহমদ, মোঃ সোহাগসহ কারারুদ্ধ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে উপজেলার সরসপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনসমূহ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলার লক্ষণপুর বাজারে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশ নেন সরসপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম পাটোয়ারী, মৎস্যজীবী দলের উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা ফখরুল আলম স্বপন, মাস্টার নুর হোসেন, মোঃ আব্দুল মমিন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ ইয়াছিন, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইয়াছিন প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, জসিম উদ্দিন, আহসান উল্লাহ, যুবদল নেতা ইলিয়াছ হোসেন, মীর হোসেন মিরু, ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, "বিএনপির রাজনীতি করার কারণে গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেমের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তাকে দীর্ঘ ১৪ বছর বাড়িছাড়া করে রেখেছে এবং একাধিকবার কারাগারে পাঠিয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেওয়ার পরও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ হয়নি।"বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, "২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ভাউপুর গ্রামের শাহ আলম এবং ২০১৬ সালে বাতাবাড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হলেও তার দায় চাপিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম ও মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসানো হয়েছে।"
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে, সরসপুর ইউনিয়ন বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।"
এদিকে নিহত জাহাঙ্গীরের মা জাহানারা বেগম ও পিতা আহসান উল্লাহ জানান, আবুল কাশেমসহ উল্লেখিত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেননি। কে বা কারা ওই নামগুলো মামলায় জড়িয়েছে জানেন না তারা। মামলা থেকে আবুল কাশেমের নাম প্রত্যাহারে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অনুরোধ করেছেন বলেও জানান তারা।