জাতীয়
নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ
বলেছেন, গতকাল আমরা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেছি। আমাদের
প্রথম পছন্দ ছিল শাপলা, সে প্রতীকই পেয়েছি। শাপলা প্রতীক হচ্ছে গণ মানুষের
সাথে সম্পৃক্ত একটি প্রতীক। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির শুভ্রতা, বিকাশ ও
প্রসারের প্রতীক হচ্ছে শাপলা। শাপলা অত্যান্ত সুপরিচিত। সে জায়গায় থেকে
আমরা প্রথম পছন্দ শাপলা দিয়েছি।
সোমবার (২৩জুন) বিকালে কুমিল্লার
দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গোপালনগরে নিজ গ্রামের একটি রাস্তার
কাজ পরিদর্শন করতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও
বলেন, সারা দেশব্যাপী আমাদের সাংগঠনিক বিস্তার চলছে। সে বিস্তার থেকেই
গতকাল আমরা রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করেছি। এখন আমাদের সাংগঠনিক কাজের
ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার সর্বোচ্চটাই দেওয়াই
আমাদর লক্ষ্য থাকবে। এদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রতি
মানুষের প্রত্যাশা ও আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির
প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মধ্যে অপূর্ণতা প্রশ্ন করছে জানতে চাচ্ছে। জুলাই
সনদ নিয়ে আমরা কাজ করছি। সরকার ইতোমধ্যে ৩০ কর্মদিবসের সময় দিয়েছে। আশা
করছি এই সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে।
নিজের গ্রামের রাস্তা
প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে আমার দাদা এই
রাস্তাটিতে মাটি ফেলে গেছেন। এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এখানে
কবরস্থান, ঈদগাহ হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান
রয়েছে। এরপর আর এই রাস্তায় এক কোদাল মাটি কেউ ফেলেনি। গ্রামের মানুষের বহুল
প্রত্যাশিত একটি রাস্তার কাজ চলছে দেখে খুব ভালো লাগছে। এ রাস্তায় অনিয়ম ও
নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার না করতে সংশ্লিষ্টকে বলা হয়েছে। এর আগে
রসুলপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর থেকে সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় রাস্তার কাজে
অনিয়ম পাওয়ায় ওই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। যদি এখানেও কোন অনিয়ম হয়
এটার কাজও বন্ধ করে দেব। জনগণের টাকা যেন সঠিক ব্যবহার হয়। একটা টাকাও যেন
কারও পকেটে না ঢুকে এটা হচ্ছে কথা। সরকার যে টাকা দিবে মানুষের শ্রম ঘামের
টাকা, ট্যাক্সের টাকা এটা দিয়ে রাস্তা হবে, এ রাস্তা দিয়ে মানুষ হাটবে, এক
টাকা কোনভাবে অপচয় করতে দেব না। এই রাস্তা দিয়ে জনগণ হাটবে। আগে আওয়ামীলীগ
যা করেই এই এ সময়ে তা ভুলে যেতে হবে।