গায়ে
হালকা জ্বর দেখে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে কিনে ওষুধ খাওয়ানো শুরু হয় ১১ বছরের
শিশু মারুফকে। দুই দিন অতিবাহিত হলেও জ্বর কমে না, বরং অবস্থা খারাপ হতে
থাকে। তৃতীয় দিন নিয়ে যাওয়া হয় বরগুনা জেলা হাসপাতালে। ধরা পড়ে ডেঙ্গু।
ততক্ষণে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। শুরু হয় পাতলা পায়খানা।
মারুফের বাবা
খাইরুল ইসলাম জানান, বরগুনা হাসপাতালে ফ্লোরে শুয়ে তিন দিন কাটালেও উন্নতি
না হওয়ায় বরিশালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হলে অবশেষে ঢাকায়
এনে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি
করি। চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক সময়ে হাসপাতালে না নেওয়ার কারণে ওর শরীর এত
খারাপ হয়ে গেছে। অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। তারা এখন আল্লাহর কাছে দোয়া করতে
বলেছেন আমাদের।
খাইরুল বলেন, আমার ছেলের চোখ ফোলা, মুখও দেখলাম ফুলে গেছে। পানিও খাওয়ানো যায় না। এখন স্যালাইন চলছে।