তানভীর
দিপু: কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও এক নারীর মৃত্যু
হয়েছে। লিমা আক্তার (২৪) নামে ওই নারী (১৯ জুন) রাত ১টার দিকে নগরীর ট্রমা
সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনিয়ে জেলায় মোট ৪
জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের সবাই নারী।শুক্রবার দাউদকান্দি উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন। ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জুনের এক তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত এই
১৯ দিনে উপজেলায় অন্তত ১৫ শ' জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে এর মধ্যে ৪ নারী
মৃত্যুবরন করেছেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে মাত্র ৫৭ জন। ৯ জনকে
ঢাকায় রেফার করা হয়েছে এবং বর্তমানে আরো ১০ জন রোগী গৌরীপুর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
সর্বশেষ নিহত লিমা আক্তার জেলার
বরুড়া উপজেলার আরিফপুর গ্রামের মৃত মোবারক হোসেন ভূঁইয়ার ছোট মেয়ে। তিনি
দাউদকান্দির গৌরিপুর পালপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আরিফ হোসেনের স্ত্রী।
তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৩
জুন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে লিমাকে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে দ্রুত তাকে
কুমিল্লা ট্রমা হসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।
দাউদকান্দি উপজেলা
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, খুব কম সময়ের মধ্যেই
দাউদকান্দি উপজেলাতে অনেক রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। পৌরসভার ৫ নং
ওয়ার্ড এবং ৬ নং ওয়ার্ড কে অতি ঝুঁকিপূর্ণ রেড জোন হিসেবে নেয়া হয়েছে। জুন
মাসে যারাই আক্রান্ত হচ্ছেন তারা বেশিরভাগই এই দুই ওয়ার্ডের। আর যারা
মৃত্যুবরণ করেছেন - চার নারীর মধ্যে সবাই ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেয়ার বেশ
কয়েকদিন পর যখন অসুস্থতা বেড়ে গিয়েছে তখন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাই আমরা
পরামর্শ দিয়েছি এখন কারো জ্বর হলেই - চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার।
দাউদকান্দি
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, পৌরসভার
পক্ষ থেকে দুটি ওয়ার্ডকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ডেঙ্গু
মশার বিস্তার রোধে মশকনিধন কর্মসূচি ও সচেতনতায় প্রচার-প্রচারোনা চালানো
হচ্ছে।