ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের পীরযাত্রাপুর বড় বাড়ি (ছৈন উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ি)দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি ও দৈনিক কুমিল্লার কাগজের স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মাহমুদ হারুনের প্রবাসী ভাতিজাদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী ঈদ পুনর্মিলনী। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল — প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী কলাপাতায় খাবার পরিবেশন।
সৌদি আরব, ইতালি ও মালয়েশিয়া প্রবাসী রমিজ উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, উজ্জ্বল আহমেদ, ছাদেকুর রহমান মুন্সি ও জসিম উদ্দিনের আয়োজনে এই অনন্য মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩-৪ শতাধিক নারী-পুরুষ ও মুরুব্বিগণ অংশ নেন এই আয়োজনে। সকলেই কলাপাতায় পরিবেশিত খাবার খেয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যের স্বাদ উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ও বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবুল বাশার খান। আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সৌরভ মাহমুদ হারুন, সহকারী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এবং টাকুই উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মামুনুর রশীদ।
এছাড়া সুস্থ হয়ে সদ্য ফিরেছেন বিজিবি'র ল্যান্স নায়েক আতাউর রহমান ইমন, যিনি গত চার মাস পিলখানা হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
বাড়ির মুরুব্বিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী নওশের আহমেদ, হাজী গিয়াস উদ্দিন, হাজী নুরুল ইসলাম সর্দার, বশির আহমেদ বাচ্চু, জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল আলীম। তাঁরা এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রবাসী আয়োজকগণ: রমিজ উদ্দিন, ছাদেকুর রহমান মুন্সি, আলমগীর হোসেন, উজ্জ্বল আহমেদ ও জসিম উদ্দিন। সহযোগিতায় ছিলেন ছফি উল্লাহ, সাইম, সাইফ, প্রান্ত, জীরন, সজীব, জয়সহ আরও অনেকেই।
এই ঈদ পুনর্মিলনী প্রমাণ করেছে, প্রযুক্তির এই যুগেও গ্রামীণ ঐতিহ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ এখনো বেঁচে আছে প্রবাসীদের মননে ও প্রেরণায়।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে সব বয়সী মানুষ খোলা প্রাকৃতিক পরিবেশে গাছতলায় বসে কলাপাতায় আনন্দঘন পরিবেশে খাবার গ্রহণ করছেন — যা একদিকে ঐতিহ্য, অপরদিকে একতার প্রতিচ্ছবি।