সোমবার ২ জুন ২০২৫
১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
টেকসই উন্নয়ন ভাবনা- যেতে হবে বহুদূর
মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী
প্রকাশ: রোববার, ১ জুন, ২০২৫, ১২:৫৩ এএম আপডেট: ০১.০৬.২০২৫ ১:৩৪ এএম |


 টেকসই উন্নয়ন ভাবনা- যেতে হবে বহুদূর ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ ও ‘টেকসই উন্নয়ন’ ধারনাগুলো বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নীতি প্রণেতা, শিক্ষাবিদ, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। সাধারণের আলোচনায় ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ এবং ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ এ দুটো ধারণা অনেক সময়ই একসাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এ দুটোর মধ্যে মোটা দাগে পার্থক্য রয়েছে। ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ মূলত: একটি সংখ্যাগত ধারণা। যেমন, যখন বলা হয় কোন দেশের নির্দিষ্ট বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪% হয়েছে, তার মানে ঐ দেশের অর্থনীতির যে খাতগুলো রয়েছে সেগুলোর সম্মিলিতভাবে বিবেচ্য বছরের পূর্বের বছরের তুলনায় ৪% বেশি উল্লম্ফন হয়েছে এবং এটি পুরোপুরিভাবেই সংখ্যাগত হিসেব। কিন্তু যখন জানতে চাওয়া হয় কোন একটি দেশের ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ কেমন হচ্ছে? তখন ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ ছাড়াও এর সাথে সেই প্রবৃদ্ধির ফলস্বরুপ অর্থনীতিতে কি ধরণের গুণগত পরিবর্তণ সাধিত হয়েছে সেটিকে বিবেচনায় নিতে হয়। অর্থাৎ ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ ধারাণাটি সংখ্যাগত এবং গুণগত দু’ধরণের বিষয়ের সম্মিলিত রূপ।
একই ধারাবাহিকতার ‘টেকসই উন্নয়ন’ এর প্রসঙ্গ যখন আসে তখন ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ ও ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ এর সাথে আরো কিছু বিষয়কে যুক্ত করতে হয়। বলা হয়ে থাকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের দ্বারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ঘাটতি বা বাঁধার কোন কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রেখে পরিচালিত পরিকল্পিত উন্নয়নই হলো টেকসই উন্নয়ন কিংবা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট।
একটি আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ এবং ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ যথেষ্ট নয়। মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ‘টেকসই উন্নয়ন’। ২০১৫ সনের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে সারা বিশ্বের মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে ‘রুপান্তরিত আমাদের পৃথিবী : ২০৩০ সালের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)’ শিরোনামে “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এজেন্ডা” প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। সে অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে “২০৩০ এজেন্ডা” এমন একটি কর্ম-পরিকল্পনা হবে যা ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল মেয়াদে বিশ্ব শান্তি জোরদার করবে এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যসহ সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান ঘটাবে। এটি মানুষ, গ্রহ, সমৃদ্ধি, শান্তি এবং অংশীদারিত্বের ৫টি পন্থার দিকে লক্ষ্য করে পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে ক্ষমতা এবং বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। মূলত: ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ‘ লক্ষ্যসমূহ হলো ১৭টি আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক লক্ষ্যের একটি সমষ্টি যা “সকলের জন্য একটি ভালো এবং আরও টেকসই ভবিষ্যৎ” অর্জনের পরিকল্পনা হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। এই ১৭টি এসডিজি একটি স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রদান করে যার মাধ্যমে বিশ্বের সব ধরনের মানুষ সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ জীবন উপভোগের সুযোগ পাবে। উপরন্ত এসডিজি’র ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রা প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
সংক্ষেপে ১৭টি এসডিজি হলো: দারিদ্র্য বিলোপ (এসডিজি ১); ক্ষুধা মুক্তি (এসডিজি ২); সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (এসডিজি ৩); মানসম্মত শিক্ষা (এসডিজি ৪); লিঙ্গ সমতা (এসডিজি ৫); নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন (এসডিজি ৬); সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি (এসডিজি ৭); শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (এসডিজি ৮); শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো (এসডিজি ৯); অসমতার হ্রাস (এসডিজি ১০); টেকসই নগর ও জনপদ (এসডিজি ১১); পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন (এসডিজি ১২); জলবায়ু কার্যক্রম (এসডিজি ১৩); জলজ জীবন (এসডিজি ১৪); স্থলজ জীবন (এসডিজি ১৫); শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান (এসডিজি ১৬); অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব (এসডিজি ১৭)৷
পৃথিবীর সব দেশ এ লক্ষ্য অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জনে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) সমাপ্তির পর থেকে ব্যাপক উন্নতি সত্ত্বেও আজও বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও, অগ্রগতি একই রকম হয়। আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে দারিদ্র্য ক্রমশ ঘনীভূত হওয়ার সাথে সাথে, বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি ধীর হয়ে যাচ্ছে, ফলে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম বড় লক্ষ্য হলো আমাদের এই গ্রহকে রক্ষা করা যাতে এটি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করতে পারে। যত দিন যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নকে ব্যাপক মাত্রায় প্রভাবিত করছে। মানুষের কার্যকলাপের কারণে প্রতি বছর ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশংকার বিষয় হলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হলে কোটি কোটি মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সমুদ্রের জল উপকূলরেখা গ্রাস করার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
স্মরণ করা যেতে পারে যে, জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। এমডিজির মূল লক্ষ্য চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল, সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং লিঙ্গসমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়ন এসব ক্ষেত্রে পুরো লক্ষ্য অর্জন করা না গেলেও সফলতা ছিল উল্লেখ করার মতো। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ঘোষিত “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)” অর্জনেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার ‘সমগ্র সমাজ পদক্ষেপে’-এর আলোকে সরকারি খাতের পাশাপাশি এনজিও, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া ও প্রান্তিক পর্যায়ের পরিকাঠামোকে সংযুক্ত করে জোরদার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব কর্মকাণ্ডের মূলমন্ত্র হিসেবে “কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়” নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই অভীষ্ঠ বা লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও এর লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে সমন্বিত করেছে। এগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়/বিভাগভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টনের পথনকশা প্রণয়ন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি জানার লক্ষ্যে এসডিজি অগ্রগতি বিষয়ক রিপোর্ট প্রণয়ন করা হচ্ছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন রিপোর্ট ২০২৪ এর মতে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্বে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৭ নম্বর অবস্থানে আছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে ভলো। এসডিজি অর্জনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থায়ন চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ২০১৭ সালে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে জানিয়েছিলো যে, বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য সরকারের চলমান বাজেট প্রক্রিয়ার বাইরে অতিরিক্ত আরও ৯২৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে যা বিভিন্ন উৎস হতে আহরণ করতে হবে। তাছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ণের জন্য বিভিন্ন খাতের সঠিক ও সময়ানুগ পরিসংখ্যানের প্রাপ্তির বিষয়টিও এক ধরণের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আশার কথা হলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিভিন্ন শুমারি ও সার্ভে পরিচালনা করে ডাটা/উপাত্ত ও পরিসংখ্যান সরবরাহ করা যাচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায়, যে কোন উন্নয়নের মূল কেন্দ্রে আছে জনগণ এবং জনগণই উন্নয়নের সুফল ভোগ করার বেশী দাবিদার। তাই জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে বিবেচনায় নিয়ে ও প্রতিফলিত করে পরিকল্পনা সাজানো হলে সেটি সফল হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০” সাফল্য লাভ করার সম্ভাবনা বেশী কারণ এটি চূড়ান্ত করার জন্য জাতিসংঘ তার সদস্য রাষ্ট্রেসমূহের সাথে আলোচনা করে সে সব দেশের মতামত এবং দেশীয় পর্যায়ে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নিয়ে সকল দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তাই ‘এসডিজি-২০৩০’ অর্জনের জন্য সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ খ্বুই জরুরি। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী আমার গড়ে তুলতে পারবো-এ বিশ্বাস আমাদের সবার। আসুন বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমন্ডলে তুলে ধরতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করি। এমডিজির মতো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ সাফল্যের পরিচয় দেবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।
লেখকঃ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত।












সর্বশেষ সংবাদ
অভিযোগ আমলে নিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজটের ১২ টি সম্ভাব্য পয়েন্ট'
নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
কুমিল্লায় ইসলাম, নারী সমাজ ও উম্মাহর করণীয় শীর্ষক সেমিনার
কুমিল্লা ক্লাবের তিন প্রয়াত সদস্যের স্মরণ সভা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় ঘুর্ণিঝড় ‘শক্তি’তে লন্ডভন্ড বৈদ্যুতিক লাইন
'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজটের ১২ টি সম্ভাব্য পয়েন্ট'
সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের ইন্তেকাল
নারীকে লাথি মেরে বহিষ্কার হওয়া জামায়াতের সেই কর্মী গ্রেপ্তার
গণধোলাইয়ের পর ইমাম আটক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২