কুমিল্লার
দেবিদ্বারে আট বছরের এক মাদরাসা পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের
অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে আটক করে স্থানীয়রা পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
গতকাল রোববার (১ জুন) সকাল ৯টার দিকে পৌরসভার বড় আলমপুর বাইতুস সালাম জামে
মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ
অভিযুক্ত ইমাম মো. রাশেদুল ইসলাম (২৯) উপজেলার
বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর গ্রামের মো. আবদুস সালামের ছেলে। ওই ইমাম বর্তমানে
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে শিশুকে যৌন
নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইমাম অভিযুক্ত রাশেদুল আলম।
এলাকাবাসী
জানায়, ভুক্তভোগী ওই শিশুটি বড় আলমপুরে মামার বাড়িতে থেকে বড় আলমপুর
আলহেরা আইডিয়াল ইসলামিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। অভিযুক্ত
রাশেদুল ইসলামও একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পার্শ্ববর্তী বাইতুস সালাম জামে
মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্বে ছিলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে
স্কুলের টিফিন চলাকালে ভুক্তভোগী শিশুকে মসজিদের ভেতর রুমে ডেকে নিয়ে এক
পর্যায়ে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেওয়ার পাশাপাশি
নানাভাবে শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করেন রাশেদুল। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা
ঘটেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনা কাউকে জানালে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেন বলেও
অভিযোগ করে শিশুটি। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ইমামকে গণপিটুনি দিয়ে ৯৯৯
এ কল দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তাকে দেবিদ্বার উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
অভিযুক্ত ইমাম রাশেদুল আলম ‘আমার
বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। এলাকার
লোকজন আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে। পূর্বে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে
রাশেদুল বলেন, আমার নামে এসব মিথ্যা অভিযোগ।
মাদরাসা শিক্ষার্থীকে যৌন
নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দীন
মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন,‘ অভিযুক্ত ইমামকে স্থানীয়রা আটক করে ৯৯৯ এ কল করেছে।
বর্তমানে ইমাম পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় থানায়
একটি মামলা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।