তানভীর
দিপু: ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ১২ টি পয়েন্ট কে গুরুত্ব
দিয়ে ঈদুল আযহার আগে সড়ক নিরাপত্তা সাজিয়েছে প্রশাসন। ঈদ উল ফিতরের
অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে কোরবানির ঈদের আগে মহাসড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে
হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সহযোগিতা
করবেন। এছাড়া বিআরটিএ, বাস মালিক সমিতি, বাজার কমিটির প্রতিনিধিগণ,রোভার
স্কাউটের সদস্যরাও মনিটরিং টিমে অংশগ্রহণ করবেন।
রবিবার কুমিল্লা জেলা
সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সভায় ঢাকা চট্টগ্রাম
মহাসড়কে যানজটের সম্ভাব্য পয়েন্ট সমূহের মধ্যে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর
বাজার ও ইলিয়টগঞ্জ বাজার, চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাজার ও চান্দিনা বাজার
(বাগুড়), বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কংশনগর
বাজার, আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট মোড় ও আলেখার চর, সদর
দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্ব রোড, সুয়াগাজী বাজার ও কোটবাড়ি ইউ টার্ন
এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বাজারকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার
উদ্যোগের কথা জানানো হয়।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সারের
সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ
সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্র্যাট ফাহমিদা
মুস্তফা, ক্যাপ্টেইন মাহবুব তাজ, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক আলম ,
সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, কুমিল্লা
জেলা সড়ক পরিবহন গ্রুপের মহাসচিব জলিস আব্দুর রব, পরিবহন নেতা মোঃ ইদ্রিস
মিয়া, মোহাম্মদ আলী হোসেন, জেলা রোভার স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন
লিটনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম
বলেন, হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের মোট ২৬ টি পয়েন্টকে গুরুতর দিয়ে এবারে
নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সাজানো হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
কুমিল্লা অংশের ১২ টি পয়েন্ট কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের কোথাযও
যেন কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি কিংবা রাতের মহাসড়কে যেন কোন
ছিনতাই ও ডাকাতের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সভায়
জানানো হয়েছে ঈদ উপলক্ষে কোন পরিবহন যেন অতিরিক্ত বাস ভাড়া নিতে না পারে সে
বিষয়ে পর্যবেক্ষক টিম মাঠে থাকবে। পরিবহন মালিকগণ তাদের স্ট্যান্ডে
প্রকাশ্যে ভাড়ার তালিকা টানিয়ে রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া
মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে কোন বাস যেন যাত্রী ওঠানামা না করাতে পারে সেজন্য আগে
থেকেই চালকদের সচেতন করার জন্য মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়।
এছাড়াও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে
শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকবে।
উল্লেখ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা,
কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়কের বাগমারা বাজার, লাকসাম জংশন ও লাকসাম বাজার,
কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে জাফরগঞ্জ দেবিদ্বার বাজার কে গুরুত্ব দিয়ে ঈদের আগে
ও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়ন বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন এসব পথে
চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।